হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১জনের যাবজ্জীবন
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় শাজাহান হত্যা মামলায় সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রশিদ মৃধাসহ ১১জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলো চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রশিদ মৃধা, বিপ্লব মিয়া, রাসেল, জুয়েল প্রাং, সবুজ আকন্দ, উজ্জ্বল আকন্দ, আব্দুল হান্নান, পিলু খন্দকার, মোকলেছার রহমান মুকুল ও আব্দুল হামিদ। সোমবার (১০অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ হাবিবা মন্ডল এর আদালত এই রায় প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শেখেরকোলা ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে আব্দুস সাত্তার খাঁ এবং রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এতে রশিদ মৃধা জয়লাভ করে ১১ ফেব্রুয়ারি তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থান ঘোরেন এবং সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
পথিমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেখেরকোলা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান ও একই এলাকার আব্দুল মান্নানের সাথে রশিদ মৃধার দেখা হয়। তখন রশিদ মৃধা ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে শাহজাহানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিতে থাকে। রশিদ মৃধার এমন হুমকি পেয়ে তার সহযোগীরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে শাহজাহানের উপর আক্রমণ করে।
এক পর্যায়ে তারা শাহজাহানের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি আঘাত করে । পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া সরকারী মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহজাহান ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে মৃত্যু হয়। ওইদিনই নিহতের ভাই মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে রশিদ মৃধাকে প্রধান আসামিকে ১১জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ১১জুন রশিদ মৃধাকে প্রধান আসামিকে ১১জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলাটি উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। বাদী ও রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডঃ নাছিমুল করিম হলি।
এএজেড