‘রক্ত দিয়ে হলেও সরকার পতনে প্রস্তুত বিএনপি’
ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির নিহত ৫ নেতা-কর্মীর স্মরণে শোক র্যালি ও সমাবেশ করেছে নওগাঁ জেলা বিএনপি। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকে নওগাঁ জেলা শহরের নওযোয়ান মাঠে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে নওযোয়ান মাঠ থেকে র্যালিটি বের হয়। র্যালিটি শহরের মুক্তির মোড় হয়ে কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষও বিএনপির দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে রাস্তায় নামছে। আরও রক্ত দিয়ে হলেও সরকার পতনে প্রস্তুত আছে বিএনপি। বিএনপি নেতা-কর্মীদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আরও রক্ত দিতে প্রস্তুত আছে তারা। অচিরেই গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। প্রতিরোধের উত্তাল তরঙ্গে সরকারের পতন ঘটবে।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম রেজু, আমিনুল হক বেলাল, শহিদুল ইসলাম টুকু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মামুনুর রহমান রিপন, ভিপি রানা, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, সাবেক জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিবুল্লাহ চৌধুরী, মহাদেবপুর থানা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার কামাল চঞ্চল, মহিলাদলের সভানেত্রী সিমা চৌধুরী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম গোল্ডেন, ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহ প্রমুখ।
আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছে। অত্যাচার-নির্যাতন সইতে সইতে জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে, এখন প্রতিরোধের সময়। অচিরেই প্রতিরোধের উত্তাল তরঙ্গ রাজপথে দানা বাঁধবে। জনগণ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। যেকোনো মুহূর্তে দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। সেই গণজোয়ারে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটবে।
সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং চলমান সমাবেশ-কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার অভিযোগে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। কর্মসূচি চলাকালীন ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শাওন প্রধান এবং বেনাপোল পৌর সভার ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মো. আব্দুল আলিম নিহত হন। বিএনপির দাবি, পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলা ও গুলিতে তারা নিহত হন।
এসজি