ক্ষেতলালে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠিত হয়। বড় বড় রস গোল্লা, কাঠের সামগ্রী, নারীদের চুরি ফিতা ও নাগর দোলা, অলিম্পিক সার্কাস প্রদর্শনী, ডেঞ্জার গেমস, যাদু প্রদর্শনী, শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক আইটেম, দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন সামগ্রীর খেলনার জিনিসপত্র নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের নিয়ে এক সম্প্রতির মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ক্ষেতলাল উপজেলার হাসপাতাল রোডের দুইপার্শ্বে মাটির তৈরী হাঁড়ি, পাতিল, হাতি, ঘোড়া, টাকার ব্যাংক এবং মিষ্টির তৈরী নানা রকমের খাবার সাজিয়ে দুই দিন ব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা যায়, যুগযুগ ধরেই প্রতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ক্ষেতলালে ঐতিহ্যবাহী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষের হাজারও ঢল নামে।মেলাকে ঘিরে আদমদীঘি, আক্কেলপুর, দুপচাঁচিয়া, ক্ষেতলাল, কালাই, কাহালু উপজেলাসহ আশেপাশের উপজেলার গ্রামে গ্রামে চলছে আত্মীয় স্বজনের সমাগম কেনাকাটার ধুমে সরগমর হয়ে উঠেছে।
মেলায় মিষ্টি বিক্রেতা সুজন ইসলাম বলেন, মেলায় আমাদের কোনো ধর্মের বিভেদ নেই। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যুগযুগ ধরে এ মেলায় হয়ে আসছে। মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের বেচা বিক্রি খুব ভালো হচ্ছে। মেলায় ঘুরতে আসা রিফাত ইসলাম বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব এ মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এখানে কোনো ধর্মের ভেদাভেদ নেই। নারী,পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধা এবং সকল ধর্মের মানুষ এ মেলায় অংশগ্রহণ করে। শিশুরা আসে বিভিন্ন রকমের খেলনার জিনিসপত্র কেনার জন্য। এমন মেলার মধ্য দিয়ে আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি প্রতিফলন ঘটে।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, করোনার কারণে গত বছর দুই বছর দুর্গোৎসবের মেলা বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এবারে ঐতিহ্যবাহী এ মেলা বসেছে। মেলায় অনেক মানুষের আনাগোনা হয়। তাই প্রশাসনের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে করে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এএজেড