বাঁচল ২০ বক, ধবংস ৭ কিল্লা!
বিলের কোথাও পানি আবার কোথায় শুকনো। এমন পরিবেশে পাখিদের পর্যাপ্ত খাবার চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুর এলাকায়। ওই খাবার খেতে প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে উড়ে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে বকসহ নানা পাখি। ওই মনোরম দৃশ্য দেখে পাখি প্রেমিদের ভালো লাগলেও ওই সুযোগ নিতে চাচ্ছেন কিছু অসাধু পাখি শিকারীরা। তারা পাখি ধরার ফাঁদ,বা কিল্লা স্থাপন করছেন বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে। তাতে আটকা পড়ছে পাখি। তবে বিষয়টি জানতে পেরে ভোরের আলো ফোটার আগেই ওই সব এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন স্থানীয় পরিবেশবিদরা। এমনই এক ঘটনায় ২০ টি সাদা বক ফাঁদ থেকে অবমুক্ত করে ৭ টি কিল্লা ধবংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে গুরুদাস উপজেলার খুবজীপুর উত্তরপাড়া বিলে ওই অভিযান চালানো হয়। গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ওই মাঠে যায় পরিবেশকর্মীরা। এ সময় ৭টি পাখি ধরার ফাঁদ থেকে ২০টি বক পাখি উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের দেখে পালিয়ে যায় পাখি শিকারীরা। পরে বিশেষ কায়দায় খেঁজুরপাতা,কলাপাতা ও বাঁশের কু দিয়ে তৈরি ৭টি পাখি ধরার ফাঁদ (কিল্লা) ধ্বংস করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ও পরিবেশকর্মী মনির হোসেনসহ স্থানীয়রা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, প্রতিদিন পরিবেশকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করলেও পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম কমছে না। তবে প্রশাসন পরিবেশকর্মীদের সহযোগিতা করলে এই অভিযান গুলো আরো সফল ভাবে সম্পন্ন করা যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান,পাখি শিকার বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত অভিযান শুরু হবে।
এএজেড