জমজ দুই বোনকে নিয়ে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীতে জয়পুরহাটে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুমারী পূজা করা হয়। মহাঅষ্টমী তিথি, শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন। দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের জন্য ভক্তদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন এটি। এ দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রতিটি মানুষ উপবাস করে মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ করেন৷ সোমবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় জয়পুরহাটের মাদারগঞ্জের মণ্ডপে দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি বিহিত পূজা প্রশস্তা ও মহাষ্টমীর ব্রতোপবাস অনুষ্ঠিত হয়েছে অগণিত ভক্ত দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ করেছেন।
জানা যায়, শহরের মাদারগঞ্জের মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। এ পূজায় দুই জমজ বোন পুষ্পিতা চক্রবর্তী ও পল্লবী চক্রবর্তীকে কুমারী রূপে আবির্ভূত করা হয়েছে। নারীদের উলুধ্বনি ও কুমারী মায়ের জয়ের ধ্বনিতে মিশনে শুরু হয় এই কুমারী পূজা। আগুন, জল, বস্ত্র, ফুল ও বাতাস- এই পাঁচ উপকরণে 'কুমারী' মায়ের পূজা দেয়া হয়। অর্ঘ্য দেয়ার পর দেবীর গলায় পরানো হয় ফুলের মালা। পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেন।
কুমারী পূজায় আসা মালতী ঘোষ বলেন, কুমারী পূজায় প্রধান কারণ নারীদের সম্মান প্রদর্শন করা। আমাদের সমাজের নারীরা কোনো ভোগ্যপণ্য নয় নারীরা সম্মানের ব্যক্তি। দেবী দুর্গা সব নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন। এ উপলব্ধি সবার মধ্যে জাগ্রত করার জন্যই কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়।
মাদারগঞ্জের মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অমিত কুমার চৌধুরী বলেন, 'দুর্গা' মাতৃভাবের প্রতীক আর 'কুমারী' নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য। শুধু মাটির প্রতিমা নয়, নারীর মধ্যেও মাতৃভাব আনা হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জয়পুরহাট জেলা উপদেষ্টা এ্যাডঃ নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পূজা উদ্যাপন শান্তিপূর্ণ ভাবে করা হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা খুব শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে। ফলে জেলা প্রশাসনসহ সকলকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন প্রকাশ করছি।
এএজেড