এনজিওর ঋণ পরিশোধের চাপে নারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে জয়পুরহাটে হীরামুণি নামে এক নারীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। কিস্তি আদায়কারী কর্মীর গালিগালাজ শোনার পর ওই নারী গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আমানপুর গ্রামে মাসুদের স্ত্রী হীরামুণি।
শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়া পর হীরামুণিকে নওগাঁ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। রাত ১০টায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, হীরামুণি ও তার স্বামী মাসুদ রানা মিলে আটটির মতো বেসরকারি সংস্থা থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা সাপ্তাহিক, মাসিক ও একালীন কিস্তিতে ঋণ নিয়েছিলেন। কিছুদিন তারা ঠিকঠাক মতো কিস্তি দিয়েছেন। হঠাৎ করেই মাস কয়েক থেকে তারা ঠিকঠাক মতো কিস্তি দিতে পারছিলেন না। ‘দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থা’ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ছয় মাস মেয়াদি ঋণ নিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগে ঋণের টাকার সুদাসলে ৩৯ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু টাকা দিতে পারেননি। শনিবার ছুটির দিন বকেয়া ঋণের টাকা আদায় করতে এসে এনজিওর মাঠকর্মী জাকির হোসেন হীরামুণিকে ঋণের টাকা দিতে চাপ দেন। সেখানে হীরামুণির সঙ্গে মাঠকর্মীর কথা কাটাকাটি হয়।
তারা আরও জানান, সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে হিরামুণি গ্যাসের ট্যাবলেট খান। সেই সময় স্বামী মাসুদ রানা বাড়িতে ছিলেন না। পরে বাড়িতে এসে হীরামুণিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে নওগাঁ হাসপাতালে রওনা দেন। পথে হিরামুণি মারা যান।
দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার বলেন, শনিবার আমাদের অফিস ছুটি ছিল। ছুটির দিনে মাঠকর্মীর কিস্তি আদায় করতে যাওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া সংস্থা কাউকে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দেয় না। এই সপ্তাহে হীরামুণির টাকা দেওয়ার কথাও নয়। তারা আরও এনজিও থেকে টাকা নিয়েছে। অন্য কোনো এনজিওর কর্মী এসে টাকার জন্য চাপ দিতে পারে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গৃহবধূ হিরামুণি এনজিও ঋণে জর্জরিত ছিলেন। ঋণের কারণে আত্নহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।
এসএন