'ইভিএমে কী ত্রুটি আছে আমরা প্রমাণ চাই'
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যারা ইভিএম নিয়ে নানা সংশয়ের কথা বলেন, তাদেরকে অনেকবার বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসে ইভিএমের ত্রুটি বের করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা অন্য কেউই এর কোনো সমস্যা বের করতে পারেনি। শুধু মুখে বললে হবে না আমরা প্রমাণ চাই ইভিএমে কী কী ত্রুটি আছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় বগুড়া সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যেখানে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। আমরা সবসময় চেয়েছি, এখনো চাচ্ছি, সবাই আসবেন, এটা আমরা বিশ্বাস করি। কমিশনের সামনে নির্বাচন করার আইন দেয়া আছে, সংবিধান দেয়া আছে। কেউ আসবেন না বলে তো আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না, দেশে ক্রাইসিস তৈরী করে দিতে পারবো না, সেটা উচিত হবে না, এতে দেশে নৈরাজ্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করবে, এতে দেশের ও জনগনের ক্ষতি হবে। আমাদের যে আইনের কাঠামো রয়েছে তার মধ্যে থেকেই নির্বাচন করবো। আমরা আহবান করবো উনারা আসবেন। আমরা বিশ্বাস করি ওনারা আসবেন, কারন ওনারাও দেশকে ভালোবাসেন, ওনারাও জনগনের বন্ধু।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে জানিয়ে বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, 'এটি চলমান বিষয়। সব নির্বাচনের বুথে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছি। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবস্থা থাকলেও সিসি ক্যামেরা থাকবে না।'তিনি আরও বলেন, বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা হয়েছে। তারা যে সকল অভিযোগ তুলেছে সেগুলোর কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে যারাই নির্বাচনী বিধি-নিষেধ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে'।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের আগে সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালাহ্উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা আশরাফুল মোমিন খান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাছান, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সদর উপজেলা কর্মকতা এসএম জাকির হোসেনসহ জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এতে অংশগ্রহন করেন।
এএজেড