প্রেমের টানে জয়পুরহাটে বিয়ে করলেন শ্রীলংকার যুবক
প্রেমের টানে বাংলাদেশের জয়পুরহাটে আসলেন এক শ্রীলঙ্কার যুবক। সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের শাহাদুল ইসলামের মেয়ে রাহেনা বেগমের সাথে ধর্মের রীতি অনুযায়ী দুই জনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
গত এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে আসেন শ্রীলঙ্কার নাগরিক রওশন মিতুন (৩৩)। এর পর তিনি জয়পুরহাটে আসেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর জয়পুরহাট সদরের উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের প্রেমিকা রাহেনা বেগম (৩৫) কে বিয়ে করেন তিনি।
জানা গেছে, রাহেনা জর্ডানে গিয়ে একটি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। ওই কোম্পানীর সুপাইভাইজার পদে ছিলেন শ্রীলংকার যুবক রোশান। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। তারপর প্রেম। গত দেড় বছর আগে যুবক তার নিজ দেশে ফিরলেও জয়পুরহাটের যুবতী দেশে ফিরেন এ বছরেই। আর সম্প্রতি শ্রীলংকা থেকে জয়পুরহাটে বিয়ে করেছেন রাহেনাকে বিয়ে করেছেন রওশন।
যুবতী রাহেনা বেগম বলেন, খুব ছোট থাকতেই আমার বিয়ে হয়। সেখানে একটি বাচ্চাও আছে। এরই মধ্যে ২০১৫ সালে জর্ডানে যাই। সেখানে থাকেই স্বামী আমাকে ডিবোর্স দেয়। পরে আমার ওই কোম্পানীতে সুপাইভাজার পদে চাকরি করতেন রোশান। তার সাথে পরিচয় ঘটে এবং প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত দেড় বছর আড়ে রোশান তার নিজ দেশ শ্রীলংকান চলে যায়। আর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি নিজ দেশে চলে আসি। এর মধ্যে মোবাইলে আমাদের কথা হতো। তার পরিবারের সাথেও আমার কথা হয়েছে। সম্প্রতি রোশান জয়পুরহাটে আসে এবং আমরা বিবাহ করি।
জানতে চাইলে রওশন মিতুন বলেন, মেয়ের পরিবার পছন্দ হয়েছে। তারা সকলেই অনেক ভালো। আমি এখানে এসে বিয়ে করেছি। এখানেই থাকতে চাই। আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। জয়পুরহাট জজ কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি এফিডেভিট (বিবাহ ঘোষণা) করা হয়েছে। তবে একই ধর্মের হওয়ায় তেমন কোনো আইনি বাধা নেই। জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রীলংকান নাগরিক জয়পুরহাটে এসে এক মেয়েকে বিয়ে করছেন বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে।
এএজেড