ফুটবলার আঁখির জমির মামলা প্রত্যাহার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী ফুটবলার আঁখি খাতুনের ৮ শতাংশ জমির উপর যে মামলা করা হয়েছিল সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মামলার বাদী। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদী হাজী মকরম প্রামানিক।
এদিন বিকালে সিরাজগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহারের আদালতে বাদীপক্ষ মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। বর্তমানে ফুটবলার আঁখিকে বরাদ্দ দেওয়া ওই জমিটি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী ফুটবলার আঁখির উপহার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৮ শতাংশ জমির একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ৪ জুন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার জমির দলিল হস্তান্তর করেন। সম্প্রতি হাজী মকরম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমি তাদের দখলে রয়েছে দাবি করে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার তফসিলে তিনি খতিয়ান উল্লেখ বা জমিটির মালিকানা দাবি করেননি। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী নিজেই মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ফুটবলে অবদান এবং দরিদ্র পরিবারের বিষয়টি বিবেচনা করে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায় আঁখিকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই জমির মালিকানা দাবি করে শাহজাদপুরের এক ব্যবসায়ী মামলা দায়ের করেন। জমি নিয়ে সমস্যার কথা আঁখি বাফুফে সভাপতিকে জানালে তারা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ওই জমির বরাদ্দ বাতিল করে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৮ শতাংশ জমি আঁখির নামে বরাদ্দ দেয়। গত ৪ জুন এই জমির দলিল আঁখির পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি আঁখি খাতুনকে বরাদ্দ দেওয়া সেই জমির দখল নিয়ে হাজী মকরম প্রামানিক আদালতে মামলা করেন। মামলায় আঁখিসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে মামলার নোটিশ নিয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশিদ ও কনস্টেবল আবু মুসা আঁখির গ্রামের বাড়িতে গেলে তার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আঁখির বাবাকে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জসহ দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেন। এ ঘটনার পাঁচদিন পর নিজ ইচ্ছায় বাদী মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এসজি