তুলির শেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে বগুড়ার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা তৈরির কারিগররা। আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপনের জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে।
দেবী দুর্গার আগমন ধ্বনি বেজে উঠেছে আকাশে বাতাসে। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া, দেবীপক্ষের শুরু আর ২ অক্টোবর দুর্গাপূজার সপ্তমী। দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন ও তার ফলাফল নিয়ে সনাতন বাঙালি সমাজে বহু কথা প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গা ও তার ছেলে-মেয়ের নিজস্ব বাহন থাকলেও দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহনের কথা আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ করা থাকে।
সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী, দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন নির্ধারণ করে মর্ত্যলোক সারা বছর কেমন যাবে। এ বছর দেবী দুর্গা আসছেন গজে (হাতি) চড়ে, যাবেন নৌকায় চড়ে। দেবীর আগমনে বিশ্ব হবে শান্তিময়, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে উদয় হবে শুভ শক্তির এমনটাই প্রত্যাশা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
মনে রাখতে হবে পূজার সপ্তমীতে দেবীর আগমন হয়, আর গমন দশমীতে। দেবী দুর্গার প্রতিমা, বাহন, অসুর, কার্তিক, গণেশসহ নকশা আঁকা কারুকাজে পূজার বেদি তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। ইতোমধ্যেই তারা জলমাটির কাজ শেষ করে ফেলেছে। শিল্পীর নিপুণ ছোঁয়ায় সূচিত হচ্ছে দেবীর আগমন। প্রথম পর্যায়ের এ কাজ শেষ এখন চলছে রং তুলির আঁচড়।
ব্যস্ত সময় কাটানো প্রতিমা শিল্পী মধ্যে হারাধন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পূজার আগে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। ১০টি পূজা মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছি। এরই মধ্যে আমরা কিছু কিছু পূজা মণ্ডপের প্রতিমাতে সাদা রংয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছি। তা ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবগুলো পূজা মণ্ডপের কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা রাখি। এ বছরও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে শারদীয় উৎসব।
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাগর কুমার রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ বছর বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ৬৯০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শাজাহানপুরে ৫৬টি, নন্দীগ্রামে ৪৬টি, শিবগঞ্জে ৬৩টি, আদমদিঘীতে ৬৫টি, সারিয়াকান্দিতে ২০টি, দুপচাঁচিয়ায় ৪২টি, ধুনটে ২৯টি, সোনাতলায় ৫০টি, শেরপুরে ৯০টি, গাবতলিতে ৭৩টি, কাহালতে ৩৬টি এবং বগুড়া সদরে ১২০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই পূজায় অংশগ্রহণ করব।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পূজা মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসজি