বগুড়ায় নৈশপ্রহরীকে পেটালেন ইউএনও
বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (নৈশপ্রহরী) কে পিটিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে করে আহত নৈশপ্রহরীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের প্রকৌশল অফিসের নৈশপ্রহরী মোঃ আলমগীর হোসেনের (৪৮) তার স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল বেশ কিছুদিন যাবৎ। সেই কারণে আলমগীর তার স্ত্রীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) আলমগীরের স্ত্রী মোছাঃ শহিদা বেগম উপজেলা পরিষদে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেন। স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর পালের সঙ্গে দেখা করে পারিবারিক কলহের বিষয়টি জানিয়ে সে চলে যায়।
নৈশপ্রহরী আলমগীরের মেয়ে জামাই মাসুদ ও মেয়ে লোপা খাতুন বলেন, ইউএনও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আমার বাবাকে ইউএনওর কক্ষে ডেকে নেয়। সেখানে স্ত্রীর অভিযোগটি যাচাই-বাছাই না করে ইউএনও নিজেই এবং তার দেহরক্ষী আনসার সদস্যরা আলমগীরকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটান। ইউএনও’র কক্ষ থেকে আলমগীর কোনো রকমে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের মসজিদের সামনে এসে রাস্তায় পড়ে যায় এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা সেখানে ভীড় জমায়।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক বলেন, মসজিদের সামনে মানুষের ভীড় দেখে আমি সেখানে গিয়ে দেখি নৈশপ্রহরী আলমগীর অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে ইউএনও পৌঁছালে স্থানীয়রা এবং আলমগীরের মেয়ে জামাই ও মেয়ে মারপিটের কারণ জানতে চাইলে ইউএনও কোনও উত্তর না দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এসআইএইচ