বগুড়ায় আটক সেই ৭ ট্রাক টিএসপি সার নকল
বগুড়ায় আটক ১৭ ট্রাক সারের মধ্যে ৭ ট্রাক টিএসপি সার ল্যাব পরীক্ষায় নকল বলে প্রমানিত হয়েছে। রাজশাহী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট থেকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গত মঙ্গলবার (৩০আগস্ট) চট্টগ্রাম থেকে টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড সার কারখানা থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি আসে। তারা সারগুলো পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। একই সঙ্গে বগুড়া বাফা গুদাম কর্তৃপক্ষ নমুনা নিয়ে গবেষণাগারে পাঠায়।
বাফা গুদাম সূত্র জানায়, সারগুলো পরিবহন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর কর্পোরেশন। সোমবার(২৯ আগস্ট) ৭ ট্রাক ও মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট) ১০ ট্রাক নকল সন্দেহে আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার আরও একটি ট্রাকে টিএসপি আসলে সেটিও আটক করা হয়। এসব ট্রাকে করে আসে মোট ২৫২ টন টিএসপি সার। সেগুলো খালাশ না করে পরীক্ষার জন্য গুদাম ক্যাম্পাসে রেখেছে বাফা কর্তৃপক্ষ। বাকি ট্রাকের সারগুলোর পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনও আসেনি।
এ ব্যাপারে ল্যাব টেস্টের বিষয়ে রাজশাহী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, ২৯ আগস্ট ৭ ট্রাকের টিএসপি সারের নমুনা আসে আমাদের কাছে। এই সারগুলোতে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কেমিক্যাল ছিল না। এতে বোঝা যায় সার গুলোতে ভেজাল মেশানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টিএসপি সারে মোট ফসফেট ওজন ভিত্তিক ৪৬ শতাংশ হবে। আর পানিতে দ্রবনীয় অবস্থায় ৪০ শতাংশ। গবেষণাগারে পাঠানো টিএসপি সার পরীক্ষায় মোট ফসফেটের ওজন ভিত্তিক পাওয়া গেছে ২৩ থেকে ৩৩ শতাংশ। আর পানিতে দ্রবনীয় অবস্থায় ফসফেট পাওয়া গেছে ১৮ থেকে ২৭ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, সরকারি সার পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ফলাফল দেওয়া। আমরা সেই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
এর আগে তদন্ত কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানার ম্যানেজার (প্রশাসন) মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সারগুলো বগুড়ায় আসার পরে কিছু সারের বস্তায় ভিন্নতা পায় বাফার কর্তৃপক্ষ। বগুড়ার বাফার ইনচার্জ চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বগুড়ায় আসে।
এসআইএইচ