ঝুঁকিপূর্ণ তবুও চলাচল, মানুষ কবে সচেতন হবে?
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে মানুষের প্রথম ধাপ হল সচেতনতা। কিন্তু অসচেতার কারণে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। বলা হয়ে থাকে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। সেই কান্না যেন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের আকাশ ভারী করে তোলে। রাজপথে প্লাকার্ড হাতে নিয়ে নেমে পড়ে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। তবুও কি সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করা গেছে। উত্তর টা আমাদের সবার জানা আছে। মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করা যায় নি। এর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জনসাধারণের অসচেতনা। আর তেমনি একটি অসচেতনার বড় উদাহরণ জয়পুরহাট শহরে আসা ঝুঁকিপূর্ণ নছিমন ও করিমনে গরু ব্যবসায়ীদের পরিবহন ব্যবস্থা।
শনিবার (২৭ আগস্ট) জয়পুরহাটের নতুন হাটে গরু হাটিতে সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত জেলার পাঁচবিবি, ক্ষতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর থেকে গরু ব্যবসায়ী ও গরু বিক্রেতা ঝুঁকিপূর্ণ নছিমন ও করিমনে চড়ে আসেন। এ ছাড়া জেলার বাইরে থেকে নওগাঁ, হিলি থেকেও ঝুঁকিপূর্ণ নছিমনে করে গরুর সাথে কখনও ঝুলে আবার কখনও ছাদে বসে গরু ক্রয়- বিক্রয় করতে হাটে আসতে দেখা যায়। এতে করে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
নতুনহাটের গো হাটির গাড়ি গ্যারেজ শ্রমিক সুমনের সাথে কথা বলে জানা যায় সপ্তাহে ২ দিন শনিবার আর মঙ্গলবার নতুন হাটে গরুহাটি বসে। প্রতি হাটে গরু নিয়ে ট্রাক ঢুকে ১ শত টি এবং নছিমন ও করিমন ঢুকে ২ হাজার টি। যার ফলে মানুষ আর গরু দিয়ে কানায় পূর্ণ থাকে নতুন হাটের গরুর হাট।
ঝুঁকিপূর্ণ নছিমনে অবস্থান করা জমিস মিয়াকে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন নছিমনে করে এভাবে ঝুলে আসা ঠিক নয় তারপরও একটু টাকা বাছার জন্য হামরা নছিমনে চড়ে গরু সাথে নিয়ে গরু বিক্রি করতে আসি। আল্লাহ ভরসা মালিক আছে উপরে কিছু হবে না।
এএজেড