নাটোরে দোকানীকে মারধর, ছাত্রলীগ নেতাকে কোর্টে চালান
নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান। তিনিসহ কয়েকজন মিলে পরিচালনা করছেন একটি এনজিও। ওই এনজিও থেকে দেওয়া হয় ঋণ। নেওয়া হয় কিস্তি। স্থানীয় এক দোকানীর কিস্তির টাকা দেওয়া-নেয়ার সময় নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে গ্রেপ্তার হন ওই ছাত্রলীগ নেতা। শনিবার (আগস্ট) দুপুরের কিছুক্ষণ আগে তাকে কোর্টে চালান দেয় পুলিশ।
সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ এবং মামলার আইও এসআই আফজাল হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার আইও এসআই আফজাল হোসেন জানান, প্রায় ৩ মাস আগে ওই এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের করোটা এলাকার মুদি সংলগ্ন চা দোকানি আব্দুস সাত্তার। ইতিমধ্যে তিনি ১৪০ টাকা হিসেবে ৯২টা কিস্তি দেন। তবে ঋণ নেয়ার সময় কথা ছিল, দিনের বেচা-কেনা শেষে রাত ৯ থেকে ১০টার সময় ওই কিস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই কিস্তি দিতে চাপ দেয় ওই দায়িত্বে থাকা শিমুল। ওই ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর শিমুল চলে যায়। কিছু সময় পরে রোকোনুজ্জামানের বাবাকে ডেকে কিস্তি পরিশোধ করে সাত্তার। ওই ঘটনায় রোকনুজ্জামান যেন কোনও ঝামেলায় না জড়ায় সেই অনুরোধও রোকনের বাবার কাছে করেন দোকানীসহ স্থানীয় কয়েকজন।
তবে রাত ৯টার দিকে রোকন, শিমুলসহ কয়েকজন ওই দোকানে গিয়ে চড়াও হয়। পরে এ ঘটনাটি তার বাবাকে জানানো নিয়ে উত্তেজিত হয়। এক পর্যায়ে ওই দোকানীকে কিল-ঘুষি মারতে থাকলে একজনের হাতের মুঠোয় থাকা মোটরসাইকেলের চাবি লেগে দোকানীর মাথা রক্তাক্ত হয়। এরপরে ওই ঘটনায় আহত দোকানীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সাত্তারের ছেলে সাব্বির বাদী হয়ে রোকন ও শিমুলের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতে শহরের মীরপাড়া এলাকা থেকে রোকোনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরের আগে তাকে কোর্টে চালান দেয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শাহীন জানান, ওই বিষয়ে তিনি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি তদন্ত করবে জেলা ছাত্রলীগ।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে রোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসআইএইচ