জয়পুরহাটে ফুলবাড়ি দিবস পালিত
জালিয়াতি কোম্পানি এশিয়া এনার্জি (জিসিএম) এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশি প্রকল্প বাতিল এবং জ্বালানি দুর্নীতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও 'জ্বালানি অপরাধী' হিসেবে এদের বিচারের দাবিতে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি জয়পুরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৬ টায় 'উম্মুক্ত নয়, বিদেশি নয়, রপ্তানি নয়' স্লোগানকে সামনে রেখে। তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি জয়পুরহাট জেলা শাখার মিছিল শহরের চিনিকল সড়ক থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাঁচুরমোড়ে ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি জয়পুরহাট জেলা শাখার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কৃষিবিদ ওবায়দুল মুসার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি জয়পুরহাট জেলা শাখার ও বাসদ সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম বাবু, জেলা সিপিবির সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বদি, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী ও জেলা বাসদ সদস্য উৎপল দেবনাথ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ফুলবাড়িতে জনগণের আন্দোলনে বাধ্য হয়ে ঐ সময়ের সরকার চুক্তি করেছিল। ঐ সময় বিরোধীদলের নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী 'ঐ চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, চুক্তি না মানার পরিণতি হবে ভয়াবহ'। কিন্তু দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও আজও চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। বরং সরকার বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে ঐ অঞ্চলে উন্মুক্ত খনি করার চক্রান্ত চলছে। এটা স্পষ্টত এই আন্দোলনের সাথে প্রতারণা। জনগণ কোনো চক্রান্ত মেনে নেবে না।
বক্তারা এছাড়াও বলেন, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প করা যাবে না। অবিলম্বে ফুলবাড়ি, রামপালসহ প্রকৃতি-পরিবেশ বিনাশি প্রকল্প বাতিল করতে হবে। ফুলবাড়ী নেতৃবৃন্দের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গসহ দেশের সর্বত্র সুলভে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আন্দোলনরত জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন বিডিআর গুলি চালায়। এতে ৩ জন শহীদ হন ও শতাধিক আহত হন। ৩০ আগস্ট সরকার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে চুক্তি করে। কিন্তু ঐ চুক্তি এখনও পূর্ণবাস্তবায়ন হয়নি।
এএজেড