নুডুলসের সঙ্গে সেফটিপিন খেয়ে শঙ্কটাপন্ন শিশু!
রাজশাহীতে নুডুলসের সঙ্গে আস্ত একটা সেফটিপিন খেয়ে ফেলেছে তিন বছরের এক শিশু। খাদ্যনালীতে সেই সেফটিপিন আটকে শঙ্কটাপন্ন সোহানা আক্তার জিদনী (৩) নামের ওই শিশুটি।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেফটিপিন বের করার মতো কোনও প্রযুক্তি না থাকায় শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে শিশুটিকে।
শিশুটির বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার বড়বাঁধ এলাকায়। তার বাবা শফিকুল ইসলাম (৩০) একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কমর্রত।
শফিকুল জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে তার মা জুলেখা বেগম নুডুলস খাওয়ানোর সময় ভুলবশত শিশুটির গলায় সেফটিপিন আটকে যায়। তাৎক্ষণিক সে বমি করতে শুরু করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। রাতেই সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায়, শিশুটির খাদ্যনালীতে সেফটিপিন বিধে আছে।
শিশুর বাবা আরও জানান, ওই সেফটিপিন নুডুলসে ছিল না কি অন্য কোনোভাবে খাবারে এসেছিল বিষয়টি তারা নিশ্চিত না।
এ বিষয়ে রামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাক-কান-গলা (ইএনটি) রেজিস্ট্রার ডা. নাজমুল হাসান জানান, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে খাদ্যনালি থেকে সেফটিপিন বের করা সম্ভব হয়নি। সেফটিপিন বের করতে যে যন্ত্র প্রয়োজন সেটি তিন দিন আগে নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেফটিপিন খাদ্যনালীতে আটকানো ঝুঁকিপূর্ণ। এটি বের করতে গিয়ে খাদ্য নালি ছিড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।
এসআইএইচ