বাথরুমের দরজা ভেঙে শিক্ষার্থীরা পেটালো শিক্ষককে
রাজশাহীর বাঘায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে চড় মারাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষককে তাড়া করে বাথরুমের দরজা ভেঙে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার ছাতারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রোকুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা প্রকাশ-কে জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছাতারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চড় মারেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘটনার পরের দিন ওই শিক্ষকের বিচার করা হবে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন প্রধান শিক্ষক। পরের দিন বুধবার (১৭ আগস্ট) বিচারে না বসায় শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে দেখে তাড়া দেয়। প্রাণের ভয়ে শিক্ষক পালিয়ে বাথরুমে অবস্থান নেন। সেখানে দরজা ভেঙ্গে ওই শিক্ষককে পেটায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। এতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষককে দেখা মাত্র তাড়া করে। এক পর্যায়ে শিক্ষক বাথরুমের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে শিক্ষককে বের করে কিলঘুষি মারেন শিক্ষার্থীরা। তবে এ সময় অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন।
এ বিষয়ে ছাতারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি গ্রস্থাগারিক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল জানান, তিনি ক্লাসে সুন্দরভাবে একটি বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করছিলেন। এক শিক্ষার্থী ক্লাসে কোন খেয়াল করছিলো না। আমি তাকে কয়েকবার ক্লাসে আন্তরিক হওয়ার জন্য বলি। তারপরও সে কোন আন্তরিক হচ্ছিল না। আমি তাকে একটি চড় মেরেছিলাম। তারপরেই এমন ঘটনা।
এ বিষয়ে ছাতরী উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক নারগিস খাতুন জানান, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঘা থানাকে অবহিত করলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার জানান, এখন এটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএজেড