রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি, ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য ও কৃষি

বগুড়ার শিবগঞ্জে রাস্তার পার্শ্বে চার ফসলি কৃষি জমিতে অনুমোদনবিহীন কারখানা স্থাপন করে পুরাতুন ব্যাটারি পুড়িয়ে অবৈধভাবে সিসা সংগ্রহ করছে। এই অবৈধ কারখানাটির কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী। অনুমোদনহীন কারখানায় পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহ থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় কারখানাটির আশে-পাশের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। পাশাপাশি মাঠের বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

কারখানাটির সৃষ্ট ধোঁয়ায় পরিবেশের চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে আশে-পাশের কয়েকটি গ্রামে। বিভিন্ন রকমের অজানা রোগ আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে না পারলেও অন্তরে প্রতিবাদের ঝড় বইছে স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী ও কৃষকদের। প্রতি রাতে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের জন্য চুল্লির নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় অনেক স্থানে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। দুর্বিষহ হয়ে উঠছে আশপাশের প্রায় ৬ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের জীবন-যাপন। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের বিষাক্ত ধোঁয়ায় মাঠের ফসল ও গবাদি পশুর ও মানুষের ফুসফুস, ত্বকসহ অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের জটিলতাসহ ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশে টিনের তৈরী বেড়া, দুইপাশে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে বেড়া তৈরী প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত অবৈধ কারখানা স্থাপন করে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের কাজ চলছে। ২৫ থেকে ৩৫ বছরের ১০/১২ জন শ্রমিক প্রতিদিনের ন্যায় আনুমানিক রাত ৯টার পর থেকে কোনো প্রকারের নিরাপত্তা ছাড়াই আগুন জালিয়ে পুরাতন ব্যাটারি পোড়ার কাজে ব্যস্ত। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তারা কারখানার ভেতরে যেনো প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন পায়তারা করে। এক পর্যায়ে প্রতিবেদন যেনো না করা হয়, তার জন্য চললো ম্যানেজের চেষ্টা কিন্ত তাদের সকল চেষ্টা শেষ পযর্ন্ত ব্যর্থ হয়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তাদের সকলের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায়। এই কারখানার মালিক মোঃ তারেকের বাড়ীও একই স্থানে। প্রতি রাতে একাধিক চুল্লিতে পুরাতন ব্যাটারি পোড়ানো হয়। পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সেই ব্যাটারি থেকে সিসা সংগ্রহ করা হয়। সেই সিসাকে গলিত অবস্থায় লোহার তৈরি কড়াইয়ে ঢেলে পাটা তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত প্রতিটি পাটার ওজন প্রায় ৩০/৩২ কেজি। যেখানে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে প্রতিদিন প্রায় একশত থেকে দুইশত সিসার পাটা সংগ্রহ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের কাজ চলে সাধারণত আনুমানিক রাত ৯টার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত, কারখানার কাজ চালু করলেই বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসে ভেসে আসছে ঝাঁঝালো গন্ধ। ফলে স্থানীয়দের শ্বাস-প্রশ্বাসে বেশ কষ্ট করতেই হচ্ছে। এসকল অসুবিধার কারনে দিনের আলোতে তারা পরিপূর্ণভাবে কাজ না করলেও রাতের আধারে প্রশাসন এবং এলাকার জনগনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের আলোতে কাজ করছে।

এ সময়ে আশপাশের এলাকাগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঝাঁঝালো দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া। এতে আশপাশের মানুষের রাত পার করতে হয় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে। বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে ওইসব স্থানের বহু পাখী ও কীটপতঙ্গ মারা যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো পশু-পাখিও দেখা যাচ্ছে না এলাকায়। অর্থাৎ এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্রাণিকূল তথা জীব-বৈচিত্রের উপরও। অর্থাৎ ব্যাপক পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিচ্ছে। যেখানে ব্যাটারি পোড়ানো হয় সেখানকার আশপাশের জমির ফসল ও ঘাস বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এ ঘাস গবাদিপশুর পেটে গেলেও তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে প্রায় শতভাগ।

অভিযোগ ওঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী উথলী গ্রামের মৃত সায়েক আকন্দের ছেলে মোঃ আজিজার রহমানের জমির উপর গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ তারেক রহমান তার লোকজন দিয়ে এভাবে চুল্লি বানিয়ে পোড়ানো হচ্ছে পুরাতন এবং পরিত্যাক্ত ব্যাটারি। সাধারণ মানুষ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহের ধোঁয়ার কারণে কলা ও মরিচ ক্ষেতসহ সকল ধরণের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

নারায়নপুর গ্রামের শ্রী চিকেষ্ঠ ঠাকুর (ছদ্ধনাম) এ প্রতিবেদক-কে বলেন, রাতের বেলা প্রচন্ড ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে আমরা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারি না। গরু-ছাগলেরও খুব সমস্যা হয়। নারায়নপুর নাথপাড়া গ্রামের শ্রী যোগেশ নাথ (ছদ্ধনাম) এ প্রতিবেদক-কে বলেন, গত কয়েক দিন থেকে রাতের বেলা খুব গন্ধ পাচ্ছি। ভেবেছিলাম হয়তো কেউ কাপড়ে আগুন দিছে মশা তাড়াচ্ছে। কিন্তু প্রতিবেশীদের সাথে কথা বললে তারা জানায় ব্যাটারি পোড়ার কথা এবং আমি রাতের বেলা গিয়ে দেখি সত্যি সেখানে ব্যাটারি পোড়ানো হচ্ছে। খুব গন্ধ হচ্ছিল তাই বেশিক্ষণ থাকতে না পেরে চলে আসি।

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, পরিত্যক্ত ব্যাটারির সিসা যানবাহনের কালো ধোঁয়ার চেয়েও ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। তারা আরও বলেন, কোনো স্থানে একনাগাড়ে কয়েকদিন ব্যাটারির সিসা বাতাসের সঙ্গে মিশতে থাকলে সেই স্থানের মানুষের নানা জটিল রোগ-ব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে। এ প্রবণতা রুখতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে। তারা বলছেন, আমাদের সমস্যা আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি। এই কারখানার কারও নিকট থেকেই নেই কোনও অনুমোদন। এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সও নেই।

কারখানার অনুমোদন বিষয়ে কারখানা পরিচালনার দায়িত্বরত মোঃ তৌফিকুর রহমান এ প্রতিবেদক-কে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার কারখানায় ব্যাটারি গলিয়ে সিসা তৈরী করা হয়। আমরা করলে দোষের কি বলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছোঁড়েন। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসন থেকে কোনও অনুমোদন আছে কিনা তিনি বলেন, কোনও দপ্তর থেকেই অনুমোদন নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া আপনারা কিভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। জবাবে বলেন স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন বলে জানান তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক মাহথীর বিন মোহাম্মদ এ প্রতিবেদক-কে বলেন, এই সিসা সংগ্রহের কারখানার বিষয়টি আমি জানি না বা কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি এখন জানলাম কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মোজাহিদ সরকার এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহ এলাকার চারপাশে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যেকোনও ফসলের ফুল ফোটার আগে বা ফুল ফোটার সময় সিসার। ঝাঁঝালো আবহাওয়ার কারণে সঠিকভাবে ফুল ফোটেনা এবং ফুল ফুটলেও সঠিকমাত্রাই ফলন হয় না। সকল ফসলের মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং মাটির উর্বতা হ্রাস পায়।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তারক নাথ কুন্ড এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ব্যাটারির সিসা মানব শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। সিসার প্রভাবে মানব শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হয়। বিভিন্ন রক্তরোগ, শ্বাসতন্ত্র তথা ফুসফুসের রোগ এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর গর্ভের শিশুর উপর ব্যপক প্রভাব ফেলে এবং বিকলাঙ্গ শিশু বা শিশুমৃত্যুরও কারন হতে পারে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ব্যাটারি পুড়িয়ে এই সিসা সংগ্রহ কারখানার বিষয়টি আমি জানি না বা কেউ আমাকে কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি এখন জানলাম কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক