মামুনের কারণে মানসিক চাপে ছিলেন খায়রুন, দাবি পরিবারের
শিক্ষক-ছাত্রের বিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হলেও ঘটনা ভাইরাল হয় চলতি বছরের ৩১ জুলাই। ওই ঘটনা ভাইরালের মাত্র ১৪ দিন পরই উদ্ধার হলো সেই শিক্ষকের মরদেহ। রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারীপাড়ায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মেয়ের আত্মীয়-স্বজন। তবে দুপুর পর্যন্ত ছেলে পক্ষের কাউকে দেখা যায়নি।
নিহত শিক্ষক খায়রুন নাহারের (৪০) ভাগ্নে নাহিদ হোসেন দাবি করেন, আটক স্বামী মামুন একজন নেশাখোর। বিয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত সে ৫ লাখ টাকা ও একটি পালসার মোটরসাইকেল নিয়েছে। সম্প্রতি ওই মোটরসাইকেল তার ভালো লাগছে না এমন কথা জানিয়ে আরো দামী মোটরসাইকেল চেয়েছে। এ নিয়ে তার খালামনি মানসিক চাপে ছিলেন। এ ছাড়াও সম্প্রতি গুরুদাসপুরে মাদক নিয়ে কিছু বখাটের মধ্যে গোলমাল হয়। ওই ঘটনায় সে আসামি হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে মানসিক, পারিবারিক ও বিভিন্ন চাপে অশান্তিতে ছিলেন তিনি। এসব ঘটনায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে নিজ আত্মীয়, কলিগ, পরিচিতজনরা বিভিন্ন সমালোচনা করেছেন। কেউ এটাকে পজিটিভ আবার কেউ নেগেটিভ রিয়েক্ট করেছে। এ নিয়ে চাপে ছিলেন খাইরুন।
এক প্রশ্নের জবাবে ভাগ্নে নাহিদ জানান, খাইরুনের আগের স্বামী বা সন্তানের পক্ষ থেকে কোনও চাপের বিষয় তারা শোনেননি। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন তা তার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে পরিস্কার করার আহ্বান জানান তিনি।
নিহতের বাবার বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড়ের স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ সবুজ জানান, মেয়ের পরিবার অত্যন্ত ভালো। তবে ওই ছেলে ড্রাগ এডিকটেড বলে শোনা যায়। ওই শিক্ষকের এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উন্মোচনের দাবি করেন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা নাটোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দীন জানান, জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। আর পিবিআই পুলিশ ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ।
আরো পড়ুন....
রাতে ওই ফ্ল্যাটে ৩ ঘণ্টা ছিলেন আটক স্বামী মামুন
সেই শিক্ষকের মৃত্যু নিয়ে যা বললেন আটক স্বামী
ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার
শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন কলেজছাত্র
এসআইএইচ