ডুয়েটে ভর্তি হয়েও অর্থাভাবে পড়ালেখা অনিশ্চিত আরিফুলের
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ডুয়েট)-এ ভর্তি হয়েও অর্থাভাবে পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে গরিব শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের। এ নিয়ে চরম দুর্ভাবনায় দিন কাটছে তার!
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামের বর্গাচাষি আবু সিদ্দিকের সন্তান আরিফুল ইসলাম। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ। পরিবারে অভাব, তাই বড় দুই ভাই আব্দুল্লাহ ও আশরাফুলের লেখাপড়া হয়নি। হাইস্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই তারা ঢাকায় গার্মেন্টস কারখানায় কাজ শুরু করেন। তাদের অনুপ্রেরণায় পড়ালেখা চালিয়ে গেছে আতিকুর, আরিফুল ও ছোট বোন শিরিনা খাতুন। সময়ের সঙ্গে বেড়ে গেছে সংসার ও তাদের পড়ালেখার খরচ।
বর্গাচাষি বাবা ও বড় দুই ভাইয়ের স্বল্প আয়ে সে ব্যয়ভার বহন করা প্রায় কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে এখন। কারমাইকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং-এ মাস্টার্স পড়ুয়া তৃতীয় ভাই আতিকুর টিউশনি করছেন। করোনায় সেটিও ঠিকমতো না চলায় কাটেনি তার অর্থনৈতিক সমস্যা। বোন শিরিনাও এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
আর্থিক এই দূরাবস্থায় বেরুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে ৪.২১ ও এস.এস.সিতে ৪.৮৩ পাওয়া আরিফুলও চালিয়ে গেছে তার পড়ালেখা।
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ৪ বছরের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে ২০১৯ এ ৩.৫৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। এবারে একই বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৪ বছরের জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিতে ভর্তি হয়েছেন তিনি। কিন্তু খরচ সামলাতে পারছেন না! অর্থাভাবে মাঝপথে তার পড়ালেখা থেমে যাওয়ার আশংকায় দিন কাটছে তার।
আরিফুল পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চান। এজন্য সরকার ও সমাজের দানশীল এবং বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতা কামনা করে আবেদন করেছে আরিফুলের পরিবার। আরিফুলকে সঙ্গে যোগাযোগ করার মোবাইল নম্বর ০১৭২৩৬৯৫৪৩৭।
/এএন