সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আনন্দ মোহন কলেজ হল বন্ধ ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

ময়মনসিংহের দুই দল শিক্ষার্থীর সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন কলেজ হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে আগামী তিন দিন শ্রেণী কার্যক্রম ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে উদ্ভুদ পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কলেজ হল সুপার মো.শাহজাহান করিম বলেন, হলের সিট বরাদ্দের নবায়ন নিয়ে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হলের বাইরে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন যেন আর বিশৃঙ্খলা না হয় সে বিষয়ে প্রশাসন সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.আমান উল্লাহ বলেন, আগামী তিন দিনের জন্য শ্রেণি কার্যক্রম ও ছেলেদের হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক চলবে। ছেলেদের আগামীকাল সকাল ৮টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে তবে মেয়েরা হলে থাকতে পারবে । হলের সিট নবায়ন ইস‍্যুতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ‍্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় প্রসাশন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেষ্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

উল্লেখ্য, বিকেল ৫টার দিকে হলের সিট নবায়ন ইস‍্যুতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ‍্যে সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক‍্যাম্পাস। এতে আহত হয়েছে প্রায় ১০ জন।

Header Ad
Header Ad

নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর

নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর কার্যক্রমে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে অবৈধভাবে ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত 'ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম: ব্রিজিং দ্য গ্যাপস' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরা নগদে পরিচালনায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি। এর মধ্যে ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি হয়েছে। নগদের অনিয়ম খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চলছে।

ডাক বিভাগের অনুমোদন ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) কোম্পানিটির ইলেক্ট্রনিক মানি (ই মানি) তৈরি, সরকারি ভাতা বিতরণ না করে অর্থ সরানোর মত অনিয়মের বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।

অনিয়মগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, নগদে অডিট চলছে। এরইমধ্যে আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক মানি তৈরি করা হয়েছে। অতিরিক্ত ৬০০ কোটি টাকা তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো এমএফএস কোম্পানি গ্রাহকের নগদ আকারে জমা দেওয়া অথের্র সমপরিমাণ ইলেক্ট্রনিক অর্থ (ই মানি) তৈরি করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কোনো গ্রাহক তার হিসাবে ১০০ টাকার ক্যাশইন করলে, সমপরিমাণ ১০০ টাকার ইলেক্ট্রনিক মানি তৈরি করতে পারবে কোনো এমএফএস কোম্পানি।

বয়স্ক, উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রকার সরকারি ভাতার অর্থ বিতরণ না করে নগদ সেই অর্থ অন্য জায়গায় সরিয়েছে বলেও জানান গভর্নর।

তিনি বলেন, নগদকে পুনর্গঠন করা হবে, এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলতে।কোম্পানিটিকে সক্রিয় করতে নতুন বিনিয়োগ আনার কথাও বলেন তিনি।

ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর যাত্রা ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ। শুরু থেকে বলা হয়, এটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা। তবে ডাক বিভাগের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া এমএফএস সেবা দেওয়া নিয়ে শুরু করে আপত্তি ও সমালোচনার মুখে পড়ে কোম্পানিটি। কার্যক্রম শুরুর পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এ নিয়ে আপত্তিও ওঠে। এর মধ্যেই আগের সরকারের সময় ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সও পায় কোম্পানিটি।

Header Ad
Header Ad

রাজনৈতিক চাপের মুখে বিএমডিএ, নিয়োগ বাতিল হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কর্মচারীর!

ছবি: সংগৃহীত

কৃষি উন্নয়নে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গভীর নলকূপের জন্য অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তির পর ১৬ হাজার ৭৮৯ জন প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। তবে, এর মধ্যে রাজনৈতিক ও দলীয় চাপের কারণে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জনের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে, রাজনৈতিক নেতাদের চাপে গত তারিখে সাড়ে ৪ হাজার দলের নেতাকর্মীর নতুন আবেদন জমা হয়েছে বিএমডিএ-এর সেচ বিভাগে। সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই একটি সংশোধিত নিয়োগ কমিটি গঠন করা হবে, যাদের সুপারিশ অনুযায়ী এসব আবেদনকারীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিএমডিএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া সাড়ে ৪ হাজার অপারেটর বাদ পড়বেন। বিষয়টি জানাজানির পর সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিএমডিএ-এর কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এ নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ রয়েছে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা গভীর নলকূপ অপারেটর নিয়োগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন রাজশাহীসহ আশপাশের জেলা-উপজেলায়। কোনো কোনো নেতা ২০০ থেকে ২৫০ জনের জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ দিয়েছেন। ছোট নেতারা সুপারিশ দিয়েছেন ৫ থেকে ৭ জনের। অপারেটর নিয়োগের জন্য কতিপয় নেতা ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব নেতা প্রতিদিন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে নিজেদের তালিকা জমা দিচ্ছেন। এর ফলে বিএমডিএ-এর নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কারও তালিকা ফিরিয়ে দিতে পারছেন না বা মুখের ওপর না-ও বলতে পারছেন না। ফলে অপারেটর নিয়োগ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিএমডিএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, শুরু থেকেই রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে যোগ্যদের বাছাই করে অপারেটর নিয়োগের চেষ্টা তারা করেছিলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা যোগ্যদেরই নির্বাচিত করে চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করেন। কিন্তু এখন রাজনৈতিক চাপে তারা অনেকের নিয়োগ বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজনৈতিক চাপের কারণে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দুই সপ্তাহ পরও এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগপত্র না দেওয়ার কারণও এটি। নিয়োগপত্রের জন্য নির্বাচিতরাও ঘুরছেন বিএমডিএতে।

বিএমডিএ সূত্র জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১৬ হাজার ৭৮৯টি গভীর নলকূপ রয়েছে। গত অক্টোবরে গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগের নোটিশ জারি করা হয়। ৩ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ২৩ হাজার ৭৫০টি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে ধারাবাহিকভাবে ২৩ হাজার ৭২১ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচিত অপারেটরদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকে দলীয় তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিএমডিএ অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা নির্বাচিত তালিকা বাতিল করে দলীয় লোকদের নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে বিএমডিএ-এর মাঠ পর্যায় ও জোনাল কার্যালয়গুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বিএমডিএ-এর কর্মকর্তারা দলীয় নেতাদের বুঝিয়ে নতুন করে আবেদন দিতে বলেন। এখন দলীয় সুপারিশগুলো থেকে সাড়ে ৪ হাজার জনকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে দলীয় সুপারিশে পেছনের তারিখ দেখিয়ে সাড়ে ৪ হাজার আবেদনপত্র নতুনভাবে জমা নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি দলীয় সুপারিশ এসেছে রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী ও পবা থেকে। কিছু সুপারিশ এসেছে নওগাঁর নিয়ামতপুর, মান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও সদর উপজেলা থেকেও রাজনৈতিকভাবে সুপারিশ দিয়ে নতুন তালিকা জমা করা হয়েছে। এগুলো বর্তমানে যাচাই-বাছাই করছেন কর্মকর্তারা। সাক্ষাৎকার ছাড়াই তাদের নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএমডিএ।

রাজশাহীর পবায় নতুন করে ২৮৩টি দলীয় আবেদন জমা হয়েছে। তানোর উপজেলার ৩১৭টি নতুন আবেদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তানোর উপজেলা বিএনপির একজন নেতা একাই ২০০ জনের আবেদনে সুপারিশ দিয়ে তালিকা দিয়েছেন বিএমডিএতে। তানোর বিএনপির আরেক সাবেক নেতা ১১৭ জনের আবেদনে দলীয় সুপারিশ করেছেন। এসব নেতা প্রতিদিন বিএমডিএ-এর প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে গিয়ে তাদের তালিকা মোতাবেক অপারেটর নিয়োগের জন্য কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন।

কৃষকরা অভিযোগে জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর উত্তরাঞ্চলজুড়ে বিএমডিএ-এর অধিকাংশ গভীর নলকূপ দখল করে নেন একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। যদিও গভীর নলকূপগুলোর চাবি এখনো দখলদারদের থেকে উদ্ধার করতে পারেনি বিএমডিএ। ফলে মাঠ পর্যায়ে নিবিড় সেচ প্রদানে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বিএমডিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, অপারেটর নিয়োগের চূড়ান্ত প্রকাশের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আপত্তি আসে। ফলে নিয়োগের তালিকা পুনর্বিবেচনা ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নতুন করে সাড়ে ৪ হাজার আবেদন নেওয়া হয়েছে। এজন্য নতুন করে একটি সংশোধিত নিয়োগ কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। সব অপারেটর পদে নিয়োগ দলীয় সুপারিশে নেওয়া হবে কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

Header Ad
Header Ad

সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের বর্বরতা, ১ দশকে নিহত ২৮৯ বাংলাদেশি

সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের বর্বরতা। ছবি: সংগৃহীত

‘অবৈধ অনুপ্রবেশ’ ও ‘চোরাকারবারি’র অভিযোগে বাংলাদেশের নাগরিকদের গুলি করে, ধাওয়া দিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ১দশকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী শুধু গুলি করে মেরেছে ২৮৯ বাংলাদেশিকে।

বিএসএফ সীমান্তে কী ধরনের বর্বরতা চালায়, সেটার চিত্র পাওয়া গেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) গত ১ দশকের বার্ষিক সীমান্ত সংঘাতের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো ঘেঁটে। আসকের হিসাব অনুযায়ী গত ১ দশকে (২০১৪-২৪) বাংলাদেশের সীমান্তগুলোয় শুধু বিএসএফের গুলিতেই প্রাণ হারিয়েছে ২৮৯ বাংলাদেশি। সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে এর একমাত্র ও অদ্বিতীয় উদাহরণ হলো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর সীমান্ত। বাংলাদেশ-ভারত আর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো দেশের সীমান্তে এমন হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় না।

আসকের পর্যবেক্ষণে আরও উঠে এসেছে বিগত ১১ বছরে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে ধান কাটা, গরু চরানো, মাছ মারা ও গৃহস্থালির কাজ করা অবস্থায় ৩১৯ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরে নিয়ে যাওয়া এই নাগরিকদের ভাগ্যে কী ঘটে, তা জানা যায় না। ধরে নিয়ে যাওয়া এই নাগরিকদের কতজন ফিরে আসেন, সেটাও থেকে যায় অজানা।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের এমন পরিস্থিতির নেপথ্য কারণ হিসেবে বিগত ক্ষমতাসীনদের নতজানু অবস্থানকে দায়ী করছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল হামিদ। বাংলাদেশ হাইকমিশন দিল্লিতে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিফেন্স অ্যাডভাইজার (সামরিক উপদেষ্টা) হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন এই সামরিক কর্মকর্তা।

দীর্ঘ সময়ে কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে বিগত সরকারের সময় দুই দেশের যে সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের আওতায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ধরনের বর্ডার কিলিং বা ফেলানী হত্যা এসব বিষয়ে কোনো ধরনের জোরালো প্রতিবাদ করা হয়নি। তবে সাধারণ মানুষের ভেতরে সেই রক্তক্ষরণ ছিল, আছে। সাধারণ মানুষ এ ধরনের ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করতে চেয়েও প্রতিবাদ করতে পারেনি। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের দমন-পীড়নে পড়েছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর
রাজনৈতিক চাপের মুখে বিএমডিএ, নিয়োগ বাতিল হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কর্মচারীর!
সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের বর্বরতা, ১ দশকে নিহত ২৮৯ বাংলাদেশি
১০ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
সায়ান এফ রহমান ব্রিটিশ রাজার দাতব্য সংস্থায় ‘আড়াই লাখ পাউন্ড’ দান করেন  
জবির গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা
বাবা হারালেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী
অতিবৃষ্টিতে সবুজ হচ্ছে সৌদির মরুভূমি, যা কেয়ামতের আলামত
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়: ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত  
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আনন্দ মোহন কলেজ হল বন্ধ ঘোষণা  
সীমান্তে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের  
দেশের মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি  
নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া  
রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতল বার্সা  
দাবানলের তাণ্ডব: ৬ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সেজে লুটপাট
এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম: তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে ভারতের চার-পাঁচটা ড্রোনই যথেষ্ট: শুভেন্দু
বিপিএলে একই ম্যাচে লিটন ও তামিমের জোড়া সেঞ্চুরির দুর্দান্ত প্রদর্শনী