শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

থানা থেকে আ.লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াতের বিক্ষোভ-মিছিল

ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় মিছিল নিয়ে হাজির হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় নেতা-কর্মীরা জমায়েত হন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়েনি পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. শফিকুল সিকদার (৩৮)। তাঁর বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিকেবাড়ি এলাকায়। তিনি মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্ববায়ক মো. এনামুল হক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কমিটির তালিকায় ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. শফিকুল সিকদারের নাম আছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পুলিশ সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জামায়াতের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা প্রাঙ্গণে যান এবং শফিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে কিছু লোক থানায় এসেছিলেন। তবে তাকে ছাড়া হয়নি। একটি মামলার সাসপেক্ট হিসেবে থানায় আনা হয়েছে তাকে।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর সদর উপজেলার নায়েবে আমির আব্দুল বারী বলেন, ‌‘শফিকুল আমাদের সংগঠনের লোক। ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এ কারণে তিনি পরে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!

কলকাতার বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ (বামে) এবং টলিউডের অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ—যিনি একদিকে চিৎকার-চেঁচামেচিতে সংবাদ পরিবেশনার এক ভিন্ন উচ্চতা ছুঁয়েছেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজগুবি তথ্য ছড়িয়ে দুই বাংলায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন—এবার চমৎকার উপমায় 'গাধা' উপাধি পেলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর কাছ থেকে!

শুক্রবার দুপুরে এক ব্যঙ্গাত্মক ফেসবুক পোস্টে ঋত্বিক লেখেন, “ধরুন একটা গাধার নাম দিলেন ময়ূর, আর পাশে বসালেন রঞ্জন। তাহলে পুরোটা হল ময়ূররঞ্জন!”
ব্যস! এই কথাটাই ভাইরালের বেলুনে হাওয়া দিয়ে ছেড়ে দিল ইন্টারনেট!

নেটিজেনরা তো হেসে লুটোপুটি! কেউ বলছেন, “এটাই বছরের সেরা স্যাটায়ার”, কেউ লিখেছেন, “গাধার এমন সুন্দর নামকরণ আগে শুনিনি!” আর ঋত্বিকের ফ্যানেরা তো একদম উচ্ছ্বসিত—কমেন্টে একের পর এক তালি!

এই পোস্ট যে সরাসরি ময়ূখকে উদ্দেশ করেই লেখা, তা বুঝতে বাকিদের বাকি না থাকলেও, অভিনেতা কিন্তু নামটা একবারের জন্যও লেখেননি! ব্যস, নাম না করেই নামের বারোটা বাজানো—এটাই তো আর্ট!

উল্লেখ্য, রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের সিনিয়র এডিটর ও ইনপুট হেড ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ নিজেকে সাংবাদিক বললেও, তার “নিউজ স্টাইল” অনেকটা নাটকীয় মলম বিক্রেতার মতো—লাফানো, চিৎকার করা আর মাঝে মাঝে উদ্ভট গল্প সাজানো!

শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ দর্শকরাও তার আচরণে বীতশ্রদ্ধ। টালিউডেও তার সঙ্গে ওঠাবসার কারণে মাঝে মাঝে বিপাকে পড়েছেন অভিনেতা দেব ও রুক্মিণী মিত্র। নেটিজেনরা মজা করে বলছেন, “দেব আর থাকবে না দাদা, রুক্মি কাছে দেব থাকবে না!”

সব মিলিয়ে, ময়ূখকে নিয়ে এখন দুই বাংলাতেই টক অব দ্য টাউন—আর ঋত্বিকের পোস্ট তো যেন সেই আগুনে এক গাদা রঙ ঢেলে দিলেন!

Header Ad
Header Ad

পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে

পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে। ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন, আদালতে মেহেরাজকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন জানানো হলে আদালত তা খারিজ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৩ এপ্রিল গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যার শিকার পারভেজ ছিলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় ছিলেন তিনি। এ সময় পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া একটি ভুল বোঝাবুঝির জেরে বাকবিতণ্ডা হয় মেহেরাজ, পিয়াস ও মাহাথিরের সঙ্গে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হলেও, ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরই গেটের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় পারভেজকে। সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনার কিছু অংশ ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মেহেরাজসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আল কামাল শেখ, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। মাহাথির হাসান ও হৃদয় মিয়াজী ইতিমধ্যে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় সেনার গুলিতে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ৭২ ঘণ্টা পার না হতেই বড়সড় জঙ্গি দমন অভিযানে সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুক্রবার ভোরে কাশ্মীরের বান্দিপোরার বাজিপোরা জঙ্গলে সেনা অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত হয়েছে।

আলতাফ লালি দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে লস্করের হয়ে নেতৃত্ব ও রিক্রুটিং-এর দায়িত্বে ছিল বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পেহেলগাম হামলার সঙ্গে তার সরাসরি যোগসূত্র ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগাম হামলার পরই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদীদের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হবে। সেই অনুযায়ী কাশ্মীরজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক চিরুনি তল্লাশি অভিযান। বান্দিপোরার পাশাপাশি বারামুলা, উধমপুর সহ একাধিক এলাকায় সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে।

সূত্রের খবর, বান্দিপোরার জঙ্গলে বেশ কয়েকজন জঙ্গির উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর অভিযান শুরু হয়। সংঘর্ষে লালির মৃত্যু হয়। অভিযানের সময় গুলির তীব্র লড়াই চলে বলে জানা গেছে। এখনও এলাকায় সন্ধান ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া, পেহেলগাম হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন দুই জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। একজনের নাম আসিফ শেখ, অপরজন আদিল ঠোকর। পুলওয়ামা ও অনন্তনাগে এই দুটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সন্দেহজনক সামগ্রী থাকার কারণে বাহিনী সেখান থেকে বেরোনোর পরই প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে।

কাশ্মীরজুড়ে চলা এই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ইতিমধ্যে প্রায় দেড় হাজার স্থানীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, যারা জঙ্গিদের আশ্রয় বা সহায়তা করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় সেনার গুলিতে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
বাইক দুর্ঘটনায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত
ঝিনাইদহে ট্রেন থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ
জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ
অপরাধী আ.লীগ নেতাদের জামাই আদরে আদালতে হাজির করা হচ্ছে
জুমার নামাজের ফজিলত, গুরুত্ব ও হাদিস
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি (ভিডিও)
এবার ভারতীয়দের সকল ভিসা স্থগিত করল পাকিস্তান
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্ত্রী জাহানারা আবেদিন মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার
পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি