রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বগুড়ায় প্রতি কেজি ফুলকপি ২ টাকা! বিপাকে কৃষক  

ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ২ থেকে তিন টাকা ধরেই বিক্রি হচ্ছে বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি মূলা মিলছে ২-৩ টাকায়। আর বাঁধাকপি, শিম কিংবা শসার মতো সবজিগুলো মিলছে ১০-১৫ টাকা কেজিতে। সবধরণের সবজির দাম নিম্নমূখী হওয়ায় গ্রাহকের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও, কৃষকের চাষাবাদের খরচ তোলাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পরেছে চাষীরা।

উত্তর জনপদের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহাস্থানগড় হাট। ১০ দিন আগেও এই হাটে ফুলকপি বিক্রি হয়েছিল ১০-১৫ বা ২০ টাকা কেজিতে। অথচ সেই ফুলকপি নেমে এসেছে সর্বোচ্চ তিন টাকায়। মূলাও মিলছে একই দরে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ৮-১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে একটি বাঁধাকপি। শিমের দামও সর্বোচ্চ ২৫ টাকা, শশার কেজি ১৫ টাকা। শুধুমাত্র ৫০ এর ঘরে টমেটো আর আলু।

একজন কৃষকরা জানান, ফুলকপির মতো সবজি ২ থেকে ৪ টাকায় কখনও বিক্রি হতে পারে বলে তারা ভাবেননি। কৃষক আসমত আলী জানান, ফুলকপি চাষ করে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।

তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনে বেশ খুশি ভোক্তারা। তবে হতাশা বাড়ছে চাষীদের। তারা বলছেন, মাঠ থেকে হাটে সবজি নেয়ার ভ্যান ভাড়াই উঠছেনা; বীজ, সার, কীটনাশক আর আবাদের খরচ উঠবে কিভাবে? শারীরিক পরিশ্রমের মূল্য তো থাকছেই না হিসেবে।

বাজারে সবজির দাম কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে এক কৃষক বলেন, এখন ফুলকপি বিক্রি করছি ২-৩ টাকা কেজি। অথচ ফুলকপির চারা কিনছি এই দামে। আর মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। এত আমাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না।

এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাইকারি আর আড়তমালিকরাও। বাজারের একজন পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সবজির দাম কম হলেও শ্রমিকের খরচ তো কমেনি, যার কারণে আমরাও সবজি কম কিনছি, কারণ লাভ হচ্ছে না। কৃষক তো শেষ সেই সঙ্গে আমরাও কেনাকাটা সীমিত করে দিয়েছি।

অন্যদিকে চাষীরা বলছেন, উৎপাদনের আধিক্য বিবেচনায় সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সব মৌসুমেই বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য দাম থেকে।

Header Ad
Header Ad

গুচ্ছ পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলসহ সাত দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের দুইটি পক্ষ।

আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে দাবিগুলো জানায় দুইটি পক্ষ। এরপর দুটি পক্ষের সাথেই আলোচনায় বসেন উপাচার্য। 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের সামনে এবং গোলচত্ত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে সাতটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়া, পোষ্য কোটা বাতিল করা, দ্রুত ছাত্রসংসদ কার্যকর করা, ভর্তি আবেদন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা, অল্প সময়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা, ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরগুলোতে নেওয়া, ডোপ টেস্টের মাধ্যমে হলের আসনবন্টন।

এসময় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. পাবেল রানা বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে না থাকে এবং পোষ্য কোটা অবশ্যই বাতিল করে। আমাদের ২৪ এর যে অভ্যুত্থান ছিল তা ছিল মূলত কোটা প্রথার বিরুদ্ধে এবং তা পরবর্তীতে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। যেহেতু কোটা বাতিল ছিল তাই কোনো ধরনের কোটা এই ক্যাম্পাসে থাকবে না। আমরা চাই যে এই কুবি ক্যাম্পাস পোষ্য কোটামুক্ত হবে। আমরা কোটার জন্য জীবন দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবির বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে, নাকি থাকবে না সেটা পরিস্কার করে বলা এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া।’

অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে  উপাচার্য তাদের সাথে আলোচনায় বসেন।

আলোচনায় স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি নিজেও চাই না গুচ্ছে থাকতে। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় চারটি চিঠি পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পরেও আমি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি, একাডেমিক কাউন্সিলে মিটিং করব। সেখানেই গুচ্ছের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে তিনি জানান, ‘এটা সাধারণ সিটের অন্তর্ভুক্ত না। সাধারণ সিটের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে প্রতিটি বিভাগে দুইটি করে পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। তারপরেও এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নিব।’

উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী জানান, কুবি গুচ্ছ পদ্ধতিতেই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিবে। পরবর্তীতে গতকাল ৪ জানুয়ারি দ্রুত গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি এস এ খালেক আর নেই

এস এ খালেক। ছবি: সংগৃহীত

অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও মিরপুর (অবিভক্ত) এলাকা থেকে নির্বাচিত একাধিকবারের সংসদ সদস্য এস এ খালেক ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টায় মিরপুর বাংলা কলেজ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গাবতলী মিরপুর শাহী মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এস এ খালেক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত বুধবার তাকে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।

রবিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আব্দুস সালাম হাসপাতালে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছিলেন।

দেশের রাজনীতিতে এস এ খালেকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে বিএনপির নেতাকর্মীসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত ৩

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যের পোরবন্দরে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে তিন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন। রোববার এ দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন ধরে যায়, যা প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

দুর্ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) উন্মুক্ত মাঠে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় এবং কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী আকাশে ছড়িয়ে পড়ে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, নিয়মিত মহড়ার সময় ধ্রুভ মডেলের এএলএইচ হেলিকপ্টারটি উপকূলরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটির কাছাকাছি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

চার মাস আগে, গত সেপ্টেম্বরে একই এলাকায় একটি এএলএইচ এমকে-২ হেলিকপ্টার আরব সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় তিন ক্রু নিখোঁজ হন, যার মধ্যে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও পাইলট রাকেশ কুমার রানা নিখোঁজ ছিলেন। এক মাসের অনুসন্ধানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সামুদ্রিক আইন প্রয়োগ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা এবং আঞ্চলিক জলসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। তবে এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

এই ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুচ্ছ পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলসহ সাত দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি এস এ খালেক আর নেই
ভারতে সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত ৩
বিএনপির নামে চাঁদাবাজি করলেই আইনি ব্যবস্থা: এডভোকেট আহমেদ আযম খান
৫০ বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়া বাতিল
এবার শেখ রেহানার ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ‘ফ্ল্যাট বিতর্কে’
এবার প্রেমের টানে নাটোরে এলেন মালয়েশিয়ার নারী
ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা বাইডেন প্রশাসনের
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস আটক
বিসিবি সভাপতির দুর্ব্যবহার, বোর্ড ছাড়ার ইঙ্গিত ফাহিমের
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, সাড়ে ১৬ বছরেই আবেদনের সুযোগ  
দেশের সম্মান ও গৌরব অটুট রাখতে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁয় শহীদ ওয়াসিম আকরাম ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পৌর ছাত্রদল
তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি
যমুনা রেলসেতু দিয়ে ট্রেন ছুটলো ১২০ কি.মি গতিতে
৭২ এর সংবিধানকে নতুন করে ঠিক করার কিছু নেই: ড. কামাল হোসেন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন আগামী সেপ্টেম্বরে  
প্রতিষ্ঠবার্ষিকীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ২
বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে একসঙ্গে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া  
অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের সচিবালয়ে অবস্থান, চাকরি পুনর্বহালের দাবি