বগুড়ায় প্রতি কেজি ফুলকপি ২ টাকা! বিপাকে কৃষক
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ২ থেকে তিন টাকা ধরেই বিক্রি হচ্ছে বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি মূলা মিলছে ২-৩ টাকায়। আর বাঁধাকপি, শিম কিংবা শসার মতো সবজিগুলো মিলছে ১০-১৫ টাকা কেজিতে। সবধরণের সবজির দাম নিম্নমূখী হওয়ায় গ্রাহকের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও, কৃষকের চাষাবাদের খরচ তোলাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পরেছে চাষীরা।
উত্তর জনপদের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহাস্থানগড় হাট। ১০ দিন আগেও এই হাটে ফুলকপি বিক্রি হয়েছিল ১০-১৫ বা ২০ টাকা কেজিতে। অথচ সেই ফুলকপি নেমে এসেছে সর্বোচ্চ তিন টাকায়। মূলাও মিলছে একই দরে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ৮-১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে একটি বাঁধাকপি। শিমের দামও সর্বোচ্চ ২৫ টাকা, শশার কেজি ১৫ টাকা। শুধুমাত্র ৫০ এর ঘরে টমেটো আর আলু।
একজন কৃষকরা জানান, ফুলকপির মতো সবজি ২ থেকে ৪ টাকায় কখনও বিক্রি হতে পারে বলে তারা ভাবেননি। কৃষক আসমত আলী জানান, ফুলকপি চাষ করে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনে বেশ খুশি ভোক্তারা। তবে হতাশা বাড়ছে চাষীদের। তারা বলছেন, মাঠ থেকে হাটে সবজি নেয়ার ভ্যান ভাড়াই উঠছেনা; বীজ, সার, কীটনাশক আর আবাদের খরচ উঠবে কিভাবে? শারীরিক পরিশ্রমের মূল্য তো থাকছেই না হিসেবে।
বাজারে সবজির দাম কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে এক কৃষক বলেন, এখন ফুলকপি বিক্রি করছি ২-৩ টাকা কেজি। অথচ ফুলকপির চারা কিনছি এই দামে। আর মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। এত আমাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না।
এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাইকারি আর আড়তমালিকরাও। বাজারের একজন পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সবজির দাম কম হলেও শ্রমিকের খরচ তো কমেনি, যার কারণে আমরাও সবজি কম কিনছি, কারণ লাভ হচ্ছে না। কৃষক তো শেষ সেই সঙ্গে আমরাও কেনাকাটা সীমিত করে দিয়েছি।
অন্যদিকে চাষীরা বলছেন, উৎপাদনের আধিক্য বিবেচনায় সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সব মৌসুমেই বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য দাম থেকে।