শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় মিলছে সবজি বীজ!

টাঙ্গাইলে ১০ টাকার সবজি বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশজুড়ে সবজির দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। নিম্ন ও মধ্যবিত্তসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সবজির দাম হাতের নাগালের বাইরে। সবজির বাজারে কোনো সবজিতেই নেই স্বস্তি। তাই চড়া দামের নাগাম টানতে ও সাধারণ মানুষকে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে টাঙ্গাইলে অভিনব এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন ও শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন নামে একটি স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন।

নিজ আঙিনায় করবো চাষ, সবজি খাবো বারো মাস’ স্লোগানে শনিনার (২৬ অক্টোবর) দিনব্যাপি টাঙ্গাইল জেলা সদর বস্তি এলাকায় ১০ টাকায় তিন রকমের সবজি বীজ বিক্রি করেছে ওই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

সবজি বীজের মধ্যে লাউ, কুমড়া, শিম, টমেটো, মরিচ, মূলা, করলা, বরবটি, শশা, লাল শাক, পালং শাক, পুই শাকসহ প্রায় ১৫ রকমের শাক সবজি বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা যে কোন ধরণের রকমের শাক সবজি বীজ কিনতে পারছরন করতে পেরেছেন ১০ টাকায়।

সবজি বীজ ক্রেতা মর্জিনা বেগম বলেন- ঘরের সাথে ছোট্ট একটু জায়গায় সবজি চাষ করবেন তিনি। এজন্য মাত্র ১০ টাকায় তিন রকমের সবজি বীজ ক্রয় করেছেন।

শিক্ষার্থী ইমরান সিকদার বলেন- বর্তমানে সবজির বাজারমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে নিয়মিত সবজি ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্যই আজ স্বল্প মূল্যে সবজি বীজ সংগ্রহ করলাম। এখন থেকে বাসায়ই চাষ করব।

সংগঠনের সমন্বয়কারী আরিফা জামান জানান, নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সবজি বীজ পৌঁছে দিতেই এমন উদ্যোগ। যাদের জমি নেই তারা বারান্দা বা ছাদে যেন সবজি চাষ করতে পারেন সেজন্য হাইব্রীড বীজও বিক্রি করছি।

সংগঠনের আরেক সমন্বয়কারী রকিবুল হাসান রায়হান জানান- আগামীতে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন গ্রামে এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। নিজেদের সবজি নিজেরা চাষ করে যেন নিরামিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং প্রতিবেশীদেরও সবজি উপহার দিতে পারে।

সংগঠনের সভাপতি মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান- বর্তমান সময়ে বাজারে সবজির দাম বেশি হওয়ায় অনেক মানুষ সবজি কিনতে পারছেন না। সবজির দাম মানুষের নাগালে আনতে এবং নিজদের বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি বীজের প্যাকেটে ভর্তুকি দিয়ে আজ প্রায় দুই শতাধিক ক্রেতার নিকট সবজি বীজ বিক্রি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার

আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে নাগরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজুকে (৪১) গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তেবারিয়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করে নাগরপুর থানা পুলিশ।

সজিবুল হুদা ওরফে সিজু উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তিনি তেবারিয়া গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফা (গোলাম মাস্টারের) ছেলে।

অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সকালে নাগরপুর বাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে একদল সন্ত্রাসী ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। ওই হামলার ঘটনায় দপ্তিয়র ইউনিয়নের ছাত্র তাইজুল ইসলাম নাগরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ইয়াবা ব্যাবসা, নারী ও শিশু অপহরণ এবং হত্যার চেষ্টাসহ কমপক্ষে ৮টি মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের দায়েরকৃত মামলায় সাজিবুল হুদা সিজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একইসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। সিজুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ভারতীয় ভিসা নীতিতে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এখন প্রায় যাত্রীশূন্য। যেখানে আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ হাজার যাত্রী পারাপার হতো, সেখানে এখন এই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র এক হাজারে। ফলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিন কাটাচ্ছেন ফাঁকা বসে, আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, ২২ থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মাত্র ১৫,০১৮ জন যাত্রী এই চেকপোস্ট দিয়ে পারাপার করেছেন। এর মধ্যে ৭,৫৭৯ জন গেছেন ভারতে, আর ফিরে এসেছেন ৭,৪৩৯ জন।

প্রতিদিনের যাত্রী চলাচলের চিত্র—
২২ জানুয়ারি: ১,৮২৪ জন (ভারতে গেছেন ৯৭৩, ফিরেছেন ৮৫১)
২৩ জানুয়ারি: ১,৮২৮ জন (ভারতে গেছেন ৯৩৭, ফিরেছেন ৮৯১)
২৪ জানুয়ারি: ১,৮৪৭ জন (ভারতে গেছেন ৯৫৪, ফিরেছেন ৮৯৩)
২৫ জানুয়ারি: ১,৫১৩ জন (ভারতে গেছেন ৬৬৮, ফিরেছেন ৮৪৫)
২৬ জানুয়ারি: ১,৮১১ জন (ভারতে গেছেন ৮৭০, ফিরেছেন ৯৪১)
২৭ জানুয়ারি: ১,৯৭১ জন (ভারতে গেছেন ১,০৭৪, ফিরেছেন ৮৯৭)
২৮ জানুয়ারি: ১,৯৪৩ জন (ভারতে গেছেন ৯৮২, ফিরেছেন ৮৯৭)
২৯ জানুয়ারি: ২,২৮১ জন (ভারতে গেছেন ১,১২১, ফিরেছেন ১,০৬০)

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যান, তাদের প্রত্যেককে ১,০০০ টাকা 'ভ্রমণ কর' ও ৫৫ টাকা 'প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ফি' দিতে হয়। তবে ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য কোনো কর নেই।

সরকারের রাজস্ব আয়ে ব্যাপক পতন হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে ভ্রমণকর থেকে গড়ে ১৮২ কোটি টাকা আয় হতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে এটি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আগে যেখানে মাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আসত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৩ কোটি টাকায়।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রফিউজ্জামান জানান, "বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্রমণ কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যাওয়া। বর্তমানে ভারত ভিসা দিচ্ছে না বললেই চলে। যাঁরা সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করেছেন, তাদের বেশির ভাগেরই আগেই ইস্যু করা ভিসা ছিল। ভিসা সীমিত থাকায় সামনের দিনগুলোতে যাত্রী সংখ্যা আরও কমতে পারে।"

বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, এখন ভিসাকেন্দ্রগুলো কেবল জরুরি মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সীমিত স্লট দিচ্ছে। ব্যবসা ও পর্যটন ভিসা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

ফরিদপুরের রনধীর সাহা ও ঢাকার রমেশ শীল তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তড়িঘড়ি করে ভারত সফর করেছেন।

রনধীর সাহা বলেন, "ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল, তাই দ্রুত ভারতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করে এলাম।"

রমেশ শীল জানান, "ভিসার মেয়াদ এই মাসেই শেষ, তাই চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে বাধ্য হলাম।"

অন্যদিকে, বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় নাগরিক আবুল কাশেম বলেন, "আগে বেনাপোল চেকপোস্টে প্রচণ্ড ভিড় থাকত, এবার কোনো ভিড় নেই। আল্লাহর রাস্তায় যাচ্ছি, ভালো লাগছে।"

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, "স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার যাত্রী ভারতে যেত। এখন সেটি নেমে মাত্র ৮০০ থেকে ১,০০০-এ দাঁড়িয়েছে। ভিসা জটিলতা না কাটলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যাত্রী পারাপার শূন্যের কোটায় চলে যেতে পারে।"

বর্তমানে যারা যাতায়াত করছেন, তাদের বেশিরভাগেরই ভিসার মেয়াদ শেষের পথে। ভিসা ইস্যুর বিষয়টি শিগগিরই স্বাভাবিক না হলে বাংলাদেশের সরকারি রাজস্ব কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

নিহত মুসল্লির নাম লোকমান হোসেন খান (৬০)। তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান।

এদিকে, আজ ফজরের নামাজের পর থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এবারের ইজতেমা ছয় দিনব্যাপী দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন, যা ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এরপর ২৩ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

ইজতেমার মূল আয়োজন শেষ হওয়ার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাওলানা সাদপন্থিদের তিন দিনের পৃথক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার
বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ
ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি, বাজার চড়া তেল-চালের
বিশ্ব ইজতেমায় ৭২ দেশের ২১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন
ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ বাবর, দুবাই হাসপাতালে ভর্তি
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে নিজ বাড়ির পাশে পড়ে ছিল যুবকের গলাকাটা মরদেহ
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪২ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার
ছাত্রদল নেতার সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়নে অনিয়মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ