শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলনে আবুলের লাশ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ, বিপাকে পরিবার

আন্দোলনে আবুলের লাশ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ, বিপাকে পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

৫ আগস্টের সরকার পতনের আন্দোলনে প্রাণ হারান সাভারের দিনমজুর আবুল হোসেন (৩৪)। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ফুলঘর গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে। জীবিকার তাগিদে স্ত্রী লাকী আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় বসবাস করতেন এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর, শুধু প্রাণ হারিয়েই ক্ষান্ত হয়নি আবুলের পরিবার, তার লাশের সঙ্গেও ঘটে নির্মম বর্বরতা। পুলিশের ভ্যানে তোলা তার এবং আরও ছয়টি লাশ থানার সামনে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

আবুল হোসেনের পরিবার জানায়, ৫ আগস্ট আন্দোলনের দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবুল। তার নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে প্রথমে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯ আগস্ট সেনাবাহিনী ও ছাত্রদের চাপের মুখে আশুলিয়া থানা পুলিশ বাধ্য হয়ে জিডি নেয়। এরপর ২৯ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে আবুলের পরিবারের কাছে তার মৃত্যুর নির্মম সত্য উন্মোচিত হয়। ভিডিওতে পুলিশের ভ্যানে লাশের স্তূপ দেখা যায়, যার মধ্যে ব্রাজিলের জার্সি ও লুঙ্গি পরিহিত একজনকেও দেখা যায়। ওই পোশাক দেখে আবুল হোসেনকে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।

তবে, শনাক্ত করার পরও পরিবারের হাতে আর তার লাশটি তুলে দেওয়া হয়নি। পুলিশের অমানবিক আচরণের শিকার হয়ে লাশটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এই খবর পরিবারের ওপর নেমে আসে বজ্রাঘাতের মতো।

আবুল হোসেনের মৃত্যুতে তার পরিবার এক চরম বিপদের মুখে পড়েছে। তার স্ত্রী লাকী আক্তার এখন দুই অবুঝ সন্তান নিয়ে দিশেহারা। বড় ছেলে ১০ বছর বয়সী হলেও ছোটটি মাত্র ৭ মাসের। বাবা হারানোর শোক বুঝে ওঠার আগেই এতিম হয়ে যায় ছোটটি। লাকী আক্তার জানান, তার দুই সন্তানের ভরণপোষণের জন্য এখন তার কোনো সহায় নেই। গ্রামে ফিরে এলেও থাকার মতো কোনো ঘর নেই। তিনি আবুলের শহীদ মর্যাদা দাবি করেন এবং সমাজের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন, যেন তার সন্তানরা শহীদের সন্তান হিসেবে সম্মানিত হতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হয়।

আবুলের মা সালমা আক্তার বলেন, "আমি ১০ মাস গর্ভে ধারণ করে তাকে জন্ম দিয়েছি। সে আমার প্রথম সন্তান। তার লাশটাও বুকে জড়িয়ে ধরা আমার নসিব হলো না। পুড়িয়ে দিল আমার কলিজার লাশটাকে। এই কষ্ট কারে দেখামু বাবা, এই কষ্ট আমি কারে দেখামু।"

তার বাবা মনির মিয়া বলেন, "আমার ছেলের মতো আরও অনেক মায়ের সন্তানকে হত্যা করেছে এই জালিমরা। আমি আমার সব সন্তান হত্যার বিচার চাই।"

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন জানিয়েছেন, আবুল হোসেনের পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন দ্রুত সহযোগিতা করবে এবং তাদের পাশে থাকবে। এছাড়াও, আবুলের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ঘর ও আয়ের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এই অমানবিক হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারের হৃদয় ভেঙে দেয়নি, বরং এটি একটি সমাজের ব্যর্থতা ও নিষ্ঠুরতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। আবুল হোসেনের মতো নিরীহ মানুষদের জীবন এত সহজে শেষ হয়ে যেতে পারে না।

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহত: স্বাস্থ্য উপ কমিটি

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি। সর্বশেষ তথ্যমতে সারা দেশে মোট ১ হাজার ৫৮১ জন নিহতের খবর প্রকাশ করেছে এ কমিটি। আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব তারেক রেজা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের বেশিরভাগই তরুণ এবং দরিদ্র পরিবারের। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে এটাই চূড়ান্ত নয় বলে জানান তিনি।

তারেক রেজা বলেন, তালিকা প্রণয়নের কাজে আমাদের সহায়তা প্রদান করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ অন্য বেশ কয়েকটি সংস্থা। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য প্রদান করে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, যা এ তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা শহীদ পরিবারকে ফোন দিয়ে বা সরাসরি যোগাযোগ করে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। তবে এখনও হয়ত আরও অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা শহীদ হলেও তাদের নাম এ তালিকায় আসেনি। আমরা জেলা কমিটিগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন প্রতিটি নাম ও তথ্য ভেরিফাই হয়ে আমাদের হাতে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা, আইটি টিমের ফরহাদ আলম ভূইয়া, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশে ৪ ঘণ্টা বিঘ্নিত হতে পারে ইন্টারনেট সেবা

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথড পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এজন্য শনিবার রাত ২টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন বা ধীরগতি দেখা দিতে পারে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।

সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২টা থেকে পরদিন রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এসময় সি-মি-উই সাবমেরিন ক্যাবলসের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলসের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকায় ট্রাফিক আইনে একদিনে ৬৩৩ মামলা, ২৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগরীতে যানজট ও সড়কে বিশৃঙ্খলা দূর করার লক্ষ্যে ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অধীনে থাকা ট্রাফিক বিভাগের সব ইউনিট শহরের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দিনভর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৬৩৩টি মামলা দায়ের করা হয় এবং মোট ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ১৬১টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয় এবং ৩৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাত-দিন কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। যেসব চালক ও পথচারী ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ডিএমপি’র এই কর্মকর্তা আরও জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ডিএমপি’র লক্ষ্য হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।

মূল অভিযানের, মোট ৬৩৩টি মামলায় মোট জরিমানা ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা। এছাড়াও অভিযানে ১৬১টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৩৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকার যানজট ও সড়কে বিশৃঙ্খলা বহুদিন ধরেই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা শহরের যানবাহন ব্যবস্থাপনা ও সাধারণ মানুষের চলাচলকে সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহত: স্বাস্থ্য উপ কমিটি
সারাদেশে ৪ ঘণ্টা বিঘ্নিত হতে পারে ইন্টারনেট সেবা
ঢাকায় ট্রাফিক আইনে একদিনে ৬৩৩ মামলা, ২৩ লাখ টাকা জরিমানা
বিভক্তি নয় ঐক্যই হোক এ জাতির সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি: ডা. শফিকুর রহমান
ভারত ভ্রমণে শীর্ষ পর্যটকদের তালিকায় বাংলাদেশিদের আধিপত্য বছরের প্রথমার্ধে
যত দ্রুত নির্বাচন হবে, ততই মঙ্গল: মির্জা ফখরুল
আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, বন্ধ ১৬ কারখানা
আ.লীগ কখনও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছিল না: ফারুক
আন্দোলনে আবুলের লাশ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ, বিপাকে পরিবার
প্রশাসনে আ. লীগের দোসরদের রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়: রিজভী
পরিবর্তন হচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম!
কেউ উপদেষ্টাদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে পুলিশে দিন: আসিফ নজরুল
আবারও বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
হ্যারি পটারের ‘প্রফেসর ম্যাকগোনাগল’ খ্যাত ম্যাগি স্মিথ মারা গেছেন
ইসলামী আন্দোলন করার কারণেই আমাদের ওপর জুলুম করা হয়েছে: মাসুদ সাঈদী
মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ২ ভারতীয় আটক
রাজধানীতে চায়ের দোকান থেকে ২ জনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
'শামীম ওসমান রাতের আঁধারে বোরকা পরে পালিয়েছেন'
চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
অশালীন আচরণের দায়ে নিষেধাজ্ঞায় মার্টিনেজ