শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২০ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ফেনী, মানুষের দুর্ভোগ চরমে

ছবি: সংগৃহীত

ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ফেনী সদর, পরশুরাম, ফুলগাজী, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে একের পর এক জনপদ ডুবে যাচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলার সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তারা।

বুধবার (২২ আগস্ট) রাতে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে মূহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি। রাস্তা-ঘাট থেকে ঘরবাড়ি কিছুই রেহাই পায়নি বানের জলে। গলাপানিতে ডুবে দিশেহারা তিন উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ। এলাকায় দুদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগ করতে পারছেন না বাইরে থাকা স্বজনরা।

গত মঙ্গলবার একজন নিখোঁজের খবর আসে। কিন্তু দুদিন পার হয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয়ও জানা যায়নি।

ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার।

জেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে।

ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, ভারতীয় পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণের মুহুরী-কহুয়া-সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৭টি ভাঙা অংশ দিয়ে হুহু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

গেল মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। সেসব স্থানে জোড়াতালির মেরামতের পর চলতি মাসের শুরুতে বাঁধের আরও ১২ স্থানে ভেঙে যায়, প্লাবিত হয় ১০০টির বেশি গ্রাম। অবকাঠামো, ধান, ফসল ও মাছের ক্ষতি ছাড়িয়ে যায় ৩০ কোটির বেশি। ১৫ দিনের মাথায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৬৫-এ পৌঁছেছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ফলে, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮২ জনে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রকাশিত নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সারাদেশে ৯২৭ জন নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩২ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া, ঢাকা বিভাগে ১৭৩ জন, বরিশালে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জন, খুলনায় ৭৬ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন এবং রাজশাহীতে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩.২% পুরুষ এবং ৩৬.৮% নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৮২ জনের মধ্যে ৫১.১% নারী এবং ৪৮.৯% পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন ছিলেন।

অবশ্য, আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর মশাবাহিত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

২০১৯ সালে দেশে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সে সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমনটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। এছাড়া, ২০২২ সালে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যেখানে ২৮১ জনের মৃত্যু ঘটে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গু মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

Header Ad

ভারতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজের ১৬ বছরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাতের সুরাতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই ১৬ বছর বয়সি ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মা।

১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই ১৬ বছর বয়সি ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নিজের পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি গুজরাতের সুরাতের। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন আগে কিশোরী পেটের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েছিল। তার মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ওই কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের কাছে এর পরেই কিশোরী স্বীকার করে নেয়, সে ধর্ষিতা হয়েছে। নিজের ভাই জোর করে তার সঙ্গে দু’বার মিলিত হয়েছে বলে মাকে জানায় সে। এর পরেই কন্যাকে নিয়ে থানায় যান মহিলা। পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার

Header Ad

সিরাত মাহফিল থেকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন আবু জাফর কাশেমী

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের (একাংশ) প্রধান আমির শরীয়ত মাওলানা আবু জাফর কাশেমী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের (একাংশ) প্রধান আমির শরীয়ত মাওলানা আবু জাফর কাশেমী সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে জাতীয় সিরাত উদযাপন কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে বক্তৃতা প্রদানকালে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, "শুধু সিরাত আলোচনা বা শুনলেই হবে না, আজ আমাদের একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সেটি হলো ঐক্যের সিদ্ধান্ত। ঐক্যের মাধ্যমে রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।"

মাওলানা কাশেমী এসময় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, "আওয়ামী লীগের মতো স্বৈরশাসন যেন আবারো আমাদের উপর ছায়া না করতে পারে। এজন্য আপসের ভিত্তিতে আমাদের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।" তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন পর খোলা আকাশের নিচে রাসূল (সা.) এর সিরাত আলোচনা হচ্ছে, যা পূর্বে স্বৈরাচারী সরকারের কারণে সম্ভব হয়নি।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, "এদেশে অনেক ওলামায়ে কেরাম শাহাদাত বরণ করেছেন। তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে আল্লাহ এবং রাসূলের সিরাত বাস্তবায়ন করতে হবে।" তিনি সকলের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, "আমরা আপসের ভিত্তিতে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধরতে হবে।"

মাহফিলে সভাপতির বক্তৃতা করেন মাওলানা আবু তাহের জিহাদী এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদে রাসূল সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের আল জাবের আল মাদানী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তা এবং ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনকারী শিল্পী গোষ্ঠীও উপস্থিত ছিলেন, যারা মাহফিলের আবহকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

এভাবে এই মাহফিলের মাধ্যমে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের একত্রিত হওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হলো।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭
ভারতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজের ১৬ বছরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে
সিরাত মাহফিল থেকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন আবু জাফর কাশেমী
টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী
পিটিআই-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাকিস্তান, সেনা মোতায়েন
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
৩ দিনে পালিয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার নয়, ক্ষতি সাড়ে ১২ কোটি !
এখন থেকে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন: প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
টাকায় থাকছে না শেখ মুজিবের ছবি, নতুন নকশার প্রস্তাব
মাঠ কাঁপিয়ে বেড়ানো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা এখন কোথায়?
নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ: জামায়াত আমির
কারাগারে অসুস্থ সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভর্তি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাশেম সাফিউদ্দিন নিহত
আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস
বিএনপির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ: নির্বাচনী রোডম্যাপসহ একাধিক দাবি
সোহেল রানার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা, নাম ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ফেসবুক নিয়ে এলো নতুন মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা চালানো উচিত: ডোনাল্ড ট্রাম্প