ডাকাতি করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক ৭
ছবি: সংগৃহীত
জেলার বন্দর উপজেলার তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক সাতজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের ব্যবহার করা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিন মিয়া এই কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বন্দর উপজেলার রূপালী এলাকার সাহেব আলীর ছেলে মজিবর (৪২), একই এলাকার মৃত ওয়ালী মিয়ার ছেলে মো. কবির (৬৫), একই উপজেলার সালেহনগর এলাকার সৈয়দ সামসুউদ্দিনের ছেলে মাসুদ (৩৫), একই এলাকার মো. বাছেদ মিয়ার ছেলে মো. মিন্টু (৩৭), একই এলাকার আক্তার হায়দারের ছেলে মো. সুমন (৪০), নারায়ণ দত্তের ছেলে মো. সুমন (৪৫) ও বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রুবেল (৩০)।
এর আগে, এদিন বিকেলে মাইক্রোবাসে করে জনসাধারণের জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করেন এবং তাদের মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে সেনাবাহিনীর কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, লুট করায় আটক সাতজনের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে জালকুড়ি এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির মালামাল লুট করার সময় চারজনকে আটক করে স্কাউট সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিন মিয়া তাদের ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার দ্বীন ইসলাম, মো. সাকিল হোসেন ও সিদ্ধিরগঞ্জের নবী।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর করছে। এসব বন্ধ করার জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে।