রংপুরের বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে প্রথমবারের মতো রংপুরে নির্মিত ১০তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভবনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। নগরীর উত্তম হাজীরহাট মহাসড়ক সংলগ্ন ১৫ একর জমির ওপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। এক সময়ের মঙ্গাপীড়িত উত্তরাঞ্চল বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে খাদ্যে উদ্বৃত্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন একাডেমি, মেট্রোপলিটন পুলিশ, উপজেলাগুলোতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, তিস্তা সেতুসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চারলেন মহাসড়ক, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় রংপুর বিভাগকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েই রংপুরবাসী এ ধরনের সুযোগগুলো পাচ্ছেন, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।’
রংপুর অঞ্চলে শীতের প্রকোপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি, এবার বেশি শীত পড়েছে। সবাই শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। আমাদের সাধ্যমতো আমরা সহযোগিতা করেছি।’ এ সময় তিনি বিত্তশালীদের শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য অনুরোধ জানান।
এদিন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বিভাগীয় সদর দপ্তরের নানা দিক তুলে ধরে বক্তৃতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পটি সম্পর্কে আবদুল ওয়াহাব ভূঞা জানান, রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পর ২০১৬ সালে ১০তলা বিশিষ্ট রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি।
তিনি জানান, জনগণ যেন এক জায়গায় এসে সেবা গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সমন্বিত সরকারি ভবন নির্মাণ বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা। এতে করে জনগণের হয়রানি এবং কৃষি জমির ওপর বাড়তি চাপ কমবে।
জিএমএ/এএমকে/এএন