বাবাকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে সাথীর সহায়তার আবেদন
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শফিকুল ইসলাম (৪২)-এর দুটি কিডনিতে সমস্যা। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তার ১০ বছর বয়সী কন্যা সাথী। বাবাকে এখনই মরতে দিতে চায় না সে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম মোবাশ্বের আলমের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন শফিকুল ইসলাম। প্রতি সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালাইসিস করানো হয় তার। গত দুই মাস ধরে এভাবে প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস খরচ ও চিকিৎসা করতে তার লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। রংপুরে থাকা ও চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পেয়ে গত শুক্রবার রংপুর থেকে রোগীকে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা। বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা সেবা আটকে আছে শফিকুল ইসলামের।
শফিকুল উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার মৃত অনিল উদ্দিনের ছেলে। চালাঘরের বসতি আর তিন শতক জমি ছাড়া তার কোনো আবাদী জমি নেই। ট্রলি চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাতেন। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়েকে অনেক কষ্টে তিন বছর আগে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে সাথী ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে।
শফিকুল ইসলামের স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, ‘আড়াই মাস আগে আমার স্বামী হঠাৎ অসুস্থ হয়। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে আমার স্বামীকে রংপুর মেডিকেলের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে তার দুটি কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। তিনি সংসারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি। কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা ও সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ঘরে ১ টা কানাকড়িও নেই। কিভাবে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা করাবো, কিভাবে ছোট মেয়ে সাথীকে মানুষ করবো জানি না বাহে! আর কতদিন ধার-দেনা করে চলতে হবে!’
অসুস্থ বাবাকে সুস্থ করে তুলতে ছোট মেয়ে সাথী কেঁদে কেঁদে সরকারসহ ও সমাজের সর্বস্তরের বিত্তবান মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছে হৃদয়বান বিত্তবানদের কাছে। শফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার (বিকাশ) ০১৭৭৪৫০৮৯৮৭।
/এএন