কুড়িগ্রামে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, অধিকাংশ শিশু
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অধিকাংশ ডায়রিয়া রোগী শিশু বলে জানা গেছে। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় বেড সংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝেতেই গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৫৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪২ জন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সূত্রে আরো জানা যায়, গত এক সপ্তাহের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দৈনিক গড়ে ৪৭ জন রোগী চিকিসাধীন অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। যা ওই ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যার ৪ গুণ বেশি।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স মোছা: আসমা খাতুন জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি। ১২ বেডের এই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। রোগীর সংখ্যা আরো বাড়লে সবাইকে বেডে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না।
১৮ মাসের শিশু রাফিয়া মনিকে নিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছালেহা বেগম। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে কোনমতে বিছানা করে রাফিয়াকে কোলে নিয়ে মা ছালেহা বলেন, হাসপাতালে এত ভীড় থাকলে আমি নিজেও অসুস্থ হবো। তারপরেও হাসপাতালে এসেছি আমার সন্তানের চিকিৎসার জন্য।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পুলক কুমার সরকার জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার তুলনায় শয্যা এবং ডাক্তার পর্যাপ্ত না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৬০ জন নার্স দিয়ে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে তিনি জানান, রোগীর স্বজনদের সচেতন এবং নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
এসিআর/এসআইএইচ