শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গরু-মহিষের ‘জন্মনিবন্ধন’

নবজাতকের জন্মের পর তার জন্মনিবন্ধন করতে হয় ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি)। ঠিক একইভাবে গরু-মহিষের বাচ্চার জন্ম হলেও ‘জন্মনিবন্ধন’ করাতে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্ত ফাঁড়িতে। বহুদিন আগে থেকেই এমন নিয়ম চালু আছে রাজশাহীর সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে।

রাজশাহীর দক্ষিণপ্রান্তে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। সেখান দিয়ে গরু চোরাচালান করে দেশে ঢোকানো হয়, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সীমান্ত দিয়ে পাচার করে আনা গরু নদী পাড়ে এনে বলা হয়, এটি তার বাড়িতে পোষা গরু। গরু পোষা, নাকি পাচার করে আনা তা নির্ধারণ করতে হিমশিম খেতে হতো বিজিবিকে। তাই বিজিবিই কৃষকের বাড়িতে জন্ম নেওয়া গরুর হিসাব রাখতে চালু করেছে ‘জন্মনিবন্ধন’ প্রক্রিয়া। এতে সুফলও মিলছে।

রাজশাহী শহরের ঠিক ওপারে পবা উপজেলার চর মাঝাড়দিয়াড় গ্রাম। সেই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি গরুর জন্মনিবন্ধন করাতে যান বিজিবির চর মাঝাড়দিয়াগ সীমান্ত ফাঁড়িতে। সেখানেই কথা হয় আশরাফুলের সঙ্গে। তিনি জানান, এলাকায় নতুন গরু-মহিষের জন্ম হলেই সেটি ১০ দিনের মধ্যে বিজিবির সীমান্ত ফাঁড়িতে আনতে হয়। গরু-মহিষের বাচ্চাটি দেখার পর বিজিবি সদস্যরা খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখেন। এতে গরু-মহিষের বাচ্চাটির বিবরণ লিখে রাখা হয়। গরু-মহিষটি বেচতে যাওয়ার আগে নিতে হয় ছাড়পত্র।

চর মাঝাড়দিয়াড় গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি আর পশুপালনই এ গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা। প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে পাঁচটি থেকে ৫০টি পর্যন্ত গরু-মহিষ আছে। বিক্রি করতে যাওয়ার সময় আগে ঝামেলায় পড়তে হতো। এখন বিজিবি ফাঁড়ির ছাড়পত্র থাকে বলে সমস্যা হয় না। তবে জন্মনিবন্ধন করা এবং ছাড়পত্র নেওয়াটা একটু ঝামেলার।

গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পুরোটিই পদ্মা নদীর ওপারে, ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া। এই ইউনিয়নের সব গ্রামের মানুষকেই গরু-মহিষের জন্মনিবন্ধন করাতে হয়।

চর কানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল হোসেন জানান, গরু-মহিষকে চরানোর জন্য সীমান্ত এলাকায় নিতে হয়। কাঁটাতারের বেড়ার দিক থেকে আসতে দেখলেই বিজিবি আগে সন্দেহ করত। এখন জন্মনিবন্ধন থাকার কারণে সমস্যা হয় না। তবে হাটের দিন গরু-মহিষ নিয়ে ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য মানুষের ভিড় লেগে যায়। তখন একটু ঝামেলা হয়।

চর আষাড়িয়াদহ ইউপির তথ্যমতে, পুরো ইউনিয়নে প্রায় ২২ থেকে ২৩ হাজার গরু-মহিষ আছে। সবগুলোরই জন্মনিবন্ধন করা আছে। এলাকার দুটি বিজিবি ক্যাম্প জন্মনিবন্ধনের কাজটি করে থাকে। এ জন্য কোনো টাকা লাগে না। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য খাতা থাকে দুটি। একটি খাতা থাকে মালিকের কাছে। সেখানে তার সব গরু-মহিষের হিসাব লেখা থাকে। একইরকম একটি খাতা থাকে বিজিবি ক্যাম্পে। গরু-মহিষ বিক্রি বা জন্ম গ্রহণের পর খাতা দুটি হালনাগাদ করে রাখতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে পড়তে হয় ঝামেলায়।

চর আষাড়িয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘বছরের পর বছর এই জন্মনিবন্ধন ও ছাড়পত্রের প্রথা চলে আসছে। আমার গরু-মহিষেরও হিসাব দিতে হয় বিজিবিকে। এটা নিয়ে মানুষকে হয়রানির মধ্যেও পড়তে হয়। দেশের আর কোথাও এ রকম হয় কি না আমি জানি না।’

এ বিষয়ে বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোর পর একটি নদী। নদীটি পার হলেই গরু-মহিষ চেনার আর উপায় থাকে না। সে জন্য সীমান্তের চোরাচালান বন্ধের একটা চেষ্টা হিসেবে গরু-মহিষের জন্মনিবন্ধন ও ছাড়পত্রের নিয়ম করা হয়েছে। এতে সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় গরু-মহিষ আর দেশে ঢুকতে পারে না। সীমান্তে অকাল মৃত্যুও কমে গেছে।’

এসএসকে/এএন

Header Ad

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

কেলি এম ফে রজরিগেজ (বামে) এবং থিয়া লি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থবহ ও মানসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষে ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রজরিগেজ এবং শ্রম বিভাগের পক্ষে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছে শ্রমিকের কাজের পরিবেশ এবং বিস্তারিত নিয়ে শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এদিন দুপুরে বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সঙ্গে। এছাড়াও সরকারি প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের গার্মেন্টস উৎপাদক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সর্বোত্তমভাবে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।

এই সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সেইসঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধির উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।

Header Ad

আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেরে অবস্থান জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘বিচার নিশ্চিতের পূর্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া মানে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা।’

এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা হত্যা ও ক্ষমতার অপব্যহারের সঙ্গে জড়িত, যখন তাদের বিচার সম্পন্ন হবে, তখনই দলটিকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে। অন্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে যতটা স্বাধীন তারাও ততটাই স্বাধীন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াই করব।

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের