মাশরাফির কাছে জুতা সেলাই মেশিন চাইলেন বাল্যবন্ধু
বাল্যবন্ধুর পাশে মাশরাফি বিন মর্তুজা।
জন্মভূমি নড়াইলে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) গিয়েছিলেন ক্রিকেট তারকা এবং সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। সন্ধ্যায় দেখা করেছিলেন বাল্যবন্ধু রবির সঙ্গে। বন্ধু রবি নড়াইলের চৌরাস্তার ফুটপাতে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন। এ সময় মাশরাফি তার বন্ধুর খোঁজ-খবর জানতে চেয়ে তার চাহিদা অনুযায়ী একটি জুতা সেলাই করার মেশিন দিতে চেয়েছেন।
রবি দাস এবং স্থানীয়রা জানান, চিত্রা পাড়ের দুই বন্ধু মাশরাফি ওরফে কৌশিক এবং রবি দাস। বড় হয়ে একজন হয়েছে ক্রিকেট তারকা এবং সংসদ সদস্য, আরেকজন নড়াইল চৌরাস্তায় ফুটপাতে বসে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন। তাই বলে ছোটবেলার বন্ধুকে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যাননি নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইট-পাথরের শহরে শত ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় পেলেই মোবাইলে কল করে খোঁজ নেন নড়াইলের চিত্রা পাড়ের বাল্যবন্ধু রবি দাসসহ ছোট বেলার খেলার সাথীদের।
১৯ ডিসেম্বর (রবিবার) বিকালে রবি দাস জানান, বিপদে-আপদে সব সময় বাল্যকালের বন্ধুদের পাশে থাকেন মাশরাফি। ছোটবেলার বন্ধু বড় হয়ে এক মুহূর্তের জন্যও তাদের ভুলে যাননি। প্রতিবার নড়াইলে এলে তার সঙ্গে দেখা করেন মাশরাফি। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
এবারের সাক্ষাতে মাশরাফি রবি দাসের কাছে তার অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জুতা সেলাই করে আয় যা হচ্ছে তা দিয়ে কোনোরকমে দিন চলে যাচ্ছে।’ কোন কিছু প্রয়োজন আছে কি-না মাশরাফি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাত দিয়ে জুতা সেলাই করতে খুব কষ্ট হয় তার। জুতা সেলাই করা একটি মেশিন হলে ভালো হয়।’ তখনই মাশরাফি মোবাইলে গুগলে খোঁজ নিয়ে জুতা সেলাই করা মেশিন দেখেন এবং রবি দাসকে বলেন এবার ঢাকায় গিয়ে জুতা সেলাই করা মেশিন কিনে পাঠিয়ে দেবেন।’
রবি আরও জানান, প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করে রবির বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। নড়াইলের চৌরাস্তায় তার দোকানটিও করে দিয়েছেন মাশরাফি।
নড়াইল চৌরাস্তায় ফুটপাতে মেহগনি গাছের নিচে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের জুতা সেলাই এবং পালিশ করেন আর বন্ধু মাশরাফির জন্য দোয়া করেন, মাশরাফি যেন দ্রুত মন্ত্রী হয়ে নড়াইলের মানুষের জন্য আরও অনেক কাজ করতে পারেন।
/এএন