নওগাঁয় কষ্টি পাথরের ২টি শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার
নওগাঁর মান্দায় দুই পাচারকারির বাড়িতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৬৬ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের দুটি শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। পলাতকরা উপজেলার কৃত্তলি গ্রামের তাহের উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া ও মৃত আহাম্মদ আলীলের ছেলে মো. কাদের বলে জানা গেছে।
নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-১৬) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পিএসসি, জি’র নেতৃত্বে মান্দার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বক্কর সিদ্দিক ও মান্দা থানার এসআই ফজলে এলাহীর সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে টাস্কফোর্স দল।
এ ব্যাপারে বুধবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি-১৬ (নওগাঁ) ব্যাটলিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে যে কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচারের উদ্দেশে ইব্রাহিম মিয়া ও মো. কাদেরের বাড়ির মধ্যে রাখা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পিএসসি, জি’র নেতৃত্বে ইব্রাহিম মিয়া ও মো. কাদেরের বাড়িতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে টাস্কফোর্স দল। এ সময় ইব্রাহিম মিয়ার বাড়ির রান্না ঘরের মধ্যে ১১০ কেজি এবং মো. কাদেরের বাড়ির ভেতরে ঘরের মধ্যে ৫৬ কেজি ওজনের দুটি কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, মূর্তি দুটি উদ্ধারের পর সাড়ে ৭টার দিকে নওগাঁ জুয়েলার্স সমিতির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পরীক্ষা করে কষ্টি পাথরের মূর্তি বলে নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধারকৃত কষ্টি পাথরের মূর্তি দুটির ওজন ১৬৬ কেজি। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি দুটি দেশের বাইরে পাচারের উদ্দেশে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযান পরিচালনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা কষ্টিপাথরের মূর্তিগুলো ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরও আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।
এসআইএইচ