টাঙ্গাইলে সেচ পাম্পের ঘরে মিলল শ্রমিকের মরদেহ
টাঙ্গাইলের বাসাইলে সেচপাম্পের ঘর থেকে লাল মিয়া (৪৫) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাসাইল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সেহরাইল মাটির খাদ এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
লাল মিয়া উপজেলার কাউলজানী মহেষখালী গ্রামের গটু মিয়ার ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সেহরাইল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। লাল মিয়া সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে তিনি কাজে যান। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, দুপুর থেকে লাল মিয়া নিখোঁজ হয়। এরপর খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এরপর সন্ধ্যায় সেচ পাম্পের শ্রমিক ঘরে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাওয়ায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুল খালেক বলেন, আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে সেহরাইলে মাটির খাদে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। দুপুরে আমার ভাতিজা খাদে গিয়ে তাকে দেখতে পায়নি। পরে ভাতিজা সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসে। সন্ধ্যায় সেচ পাম্পের ঘরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, মরদেহটি গুমের উদ্দেশ্যে তারা সেচ পাম্পের ঘরে রেখে দেয়। রাত হলে হয়তো কোথাও মরদেহ ফেলে দিতো। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলোন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এমএসপি