সনদ বাণিজ্যে রাজশাহী টিটিসি মসজিদের ইমাম!
রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) মসজিদের ইমাম আবু তালহার বিরুদ্ধে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগের পর ঘটনার সত্যতা জানতে টিটিসি প্রশাসন তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, টিটিসি’র অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক।
তিন সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন উপাধ্যক্ষ আখতারা শাহীন, সদস্য সচিব ইন্সট্রাক্টর রেজাউল করিম, সদস্য ইন্সট্রাক্টর রাশেদ আলম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জের মো. বিপ্লব বিদেশে যাওয়ার জন্য বাকি থাকা কাগজ সম্পন্ন করতে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) আসেন। এরপরে আবু তালহার দোকানে যায় বিপ্লব। সেখানে বিপ্লবের থেকে অর্থের বিনিময়ে ফটোকপি সনদপত্রে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে জেলা কর্মসংস্থান অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাঠান অভিযুক্ত আবু তালহা। সেখানে গিয়ে জালের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় বিদেশগামী কর্মী বিপ্লবকে আটকে দেওয়া হয়। এরপরে অভিযুক্ত আবু তালহাকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। এ সময় তালহা সনদপত্রে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালের বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিদেশগামী কর্মী বিপ্লব ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি ১১ থেকে ১২ মাস ধরে বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দফতরে ঘুরছি। কিন্তু যেতে পারছি না। সব জায়গায় (দুর্নীতি) আছে। তাই এই পথ বেছে নিয়েছেন।
তবে বিয়ষটি নিয়ে আবু তালহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তদন্ত কমিটির সদস্য ইন্সট্রাক্টর রাশেদ আলম জানান, ‘তদন্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবু তালহা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। বিষয়টি অন্য সদস্যরা দেখছেন। তবে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে তিনি আর দোকান চালাতে পারবেন না।’
রাজশাহী টিটিসির অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক জানান, ইমাম আবু তালহার পদ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আর মসজিদে নামাজ পড়াতে পারবেন না। আগামী ৩০ এপ্রিলের পরে তাকে দোকান ছেড়েও দিতে হবে।
এমএসপি