নেত্রকোনায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টর ফসলি জমি
ভারতের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে হাওরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানির চাপে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কয়রার বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে কাঁচা ও আধা পাকা বোরো ধানের জমি।
এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এসব এলাকার কৃষক। পানি আরও বাড়লে উঁচু ক্ষেতের বোরো ধান আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে ধনু নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে মদন উপজেলার মগড়া, বালই, ছিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েকটি হাওরের প্রায় ১০ হেক্টর জমির কাঁচা ও আধাপাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ঢলের পানি এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ উপজেলায় নতুন বাঁধ ভেঙে বহু জমির ফসলই তলিয়ে যাবে।
কয়রার বাঁধটিতে এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করলেও পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ হাওর পাড়ের কৃষকগণ মাটি কেটে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করলেও বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করায় কৃষকগণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় কৃষকগণ জানান, কেবল এটিই নয়- মাঘান, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের আরও বেশ কয়েকটি ফসল রক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি জানান, হাওরের কয়রা বিলের অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে বোরো ধানের নিচু জমিতে পানি প্রবেশ করেছে ও কিছু আধা পাকা ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে মদন উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, বাধঁ ভেঙে যাওয়ার কারণে এ হাওরে ক্ষতি হয়েছে। কয়রার ৭ কিলোমিটার মদন ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হলে দেওসহিলার তলার হাওরের জমি রক্ষা পাবে। এ ছাড়া খালিয়াজুরী ধনু নদীর পুটিয়ার বাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হলে মাঘান, গোবিন্দশ্রী ও ফতেপুরের বোরো ধান আগাম পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষা পাবে। পানি বৃদ্ধি পেলে মদন উপজেলার ৬০০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মদন উপজেলার ইউএনও বুলবুল আহমদ বলেন, বাঁধ ভাঙার খবর পেয়েই হাওরে ছুটে যাই। ধানের জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় দ্রুত মেশিনে ধান কাটা শুরু হয়। তবে এ হাওরের অধিকাংশ কৃষক তাদের বোরো ধান কেটে ফেলেছে।
টিটি/