ভাসানচর যাচ্ছে আরও ১১০০ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১৩ দফায় আরও ১১০০ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ২০টি বাসে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেন এসব রোহিঙ্গারা।
এর আগে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তায় রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে শুরু করেন। পরে ২০টি বাস তাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন জানান, এবার ১১০০ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরের উদ্দেশে ১১০ জন রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে যাত্রা করেছেন। আরও কিছু রোহিঙ্গা আসার কথা রয়েছে। সব মিলে কতজন রোহিঙ্গা এবার এখানে আসছে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। এখানে পৌঁছানোর পর তাদের নিজ নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ১২ দফায় ১০০৬ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে যান। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছেন। এ ছাড়াও ২২ মার্চ অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করা ১৪৯ জন রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌ-বাহিনী।
এসআইএইচ