কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আলোচিত ইমরান শেখ হত্যা মামলায় ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে একজনকে ফাঁসি, দুইজনকে আমৃত্যু ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এ রায় প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দড়ি কোমরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শহিদুর রহমান ওরফে পিরু মিঠুন। আর আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান ও সদর উপজেলার হাউজিং এলাকার ফজলুল বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান জজ। তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে নাহিদ হাসান, খোকসা উপজেলার চক হরিপুর গ্রামের মুন্সি নাসির উদ্দিনের ছেলে মুন্সি অনিক হাসান ওরফে ইমরান ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তুলশীতলা গ্রামের আফাজুদ্দীনের ছেলে ওয়াদুদ ওরফে রাজু। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত ইমরান শেখ ২০১৮ সালের ১৬ মার্চে নিজ বাড়ি থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে যায়। সেদিন আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরদিন সকালে নিহতের স্বজনরা জানতে পারে সদরপুর ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে একটি মাথাবিহীন গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। পরে পরিবারের সদস্যরা ইমরান শেখের লাশ সনাক্ত করে।
সূত্রে আরও জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা নিহত ইমরান শেখকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে গলা কেটে তাকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঘটনার তিন দিন পর নিহতের বাবা বাদশা শেখ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন তিনি। এদিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম।
এসআইএইচ