পরকিয়ার জেরে মায়ের হাতেই সন্তানকে হত্যা চেষ্টা
মেহেন্দিগঞ্জের দড়িরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত মারিয়াকে (৮) ঘুম পাড়িয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই নিজ মায়ের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুসরাতের নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, হত্যা চেষ্টাকালে নুসরাতের চিৎকারে প্রতিবেশী ফুপাত ভাই ইয়াসিনসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে।
নুসরাতের পিতা মো. ইউসুফ কাজী ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার দুই সন্তানের মধ্যে নুসরাত বড় এবং ৩ বছরের আরো একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নুসরাতের ফুপু কল্পনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, 'তিন বছর আগে ইউসুফ কাজীর ফুপাতো ভাই ছালামের সঙ্গে নুসরাতের মা সিমা বেগমের পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছর খানেক আগে ছালামের সঙ্গে পালিয়ে যায় সিমা বেগম (৩০)। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের হস্তক্ষেপে পুনরায় ইউসুফ কাজীর সংসারে ফিরে আসে নুসরাতের মা।
তিনি আরো বলেন, 'নুসরাতের মা সিমা দুই সন্তন নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে থাকে। এ সময় সিমার আত্মীয় ফুপাতো ভাই ছালামের সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্ক গেড়ে ওঠে। তাই আবার ছালামের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য শুক্রবার দুপুরে নিজ সন্তনকে ঘুম পারানোর কথা বলে বসতঘরের একটি রুমে নিয়ে নুসরাতকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে।'
এদিকে এ ঘটনার পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নুসরাতকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করাতে এসে সেখানে থেকে তার মা সিমা বেগম (৩০) পালিয়ে যায় বলে জানান ফুপু কলপনা আক্তার।
শেবাচিমের শিশু সার্জারি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. তানিম জানান, নুসরাতের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। তবে এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়। আপত গালায় ১৬ শেলাই লেগেছে।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানর ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ঘনাটি সম্পর্কে আমারা অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসআইএইচ