বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘পানামা’ রোগ আতঙ্কে লোকসানের মুখে কলা চাষিরা

টাঙ্গাইলে ‘পানামা’ রোগ আতঙ্কে সম্ভাবনাময় ফসল কলা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা। স্থানীয় কলা চাষিদের কাছে পানামা রোগ একটি ‘অজ্ঞাত ভাইরাস’। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে কলা গাছের পাতা হলুদ হয়। পরে ধীরে ধীরে গাছটি নিস্তেজ হয়ে মারা যায়।

এ অজ্ঞাত ভাইরাসটি বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রথমে ২-৪টি কলা গাছ এ রোগে আক্রান্ত হলেও দ্রুত পুরো বাগানে ছড়িয়ে পড়ছে। গত কয়েক বছরে পানামা আক্রান্তের হার সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও দুই বছর ধরে এটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে চাষিদের মধ্যে কলা চাষে অনাগ্রহ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কলা চাষে এক প্রকার বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, লাল-ধুসর মাটি কলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। মাটির উর্বরতার পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়া কলার উৎপাদন আরও বাড়িয়ে তোলে। জেলার মধুপুর গড়াঞ্চলের মধুপুর, ঘাটাইল, সখীপুর, মির্জাপুর উপজেলার অধিকাংশ কৃষক আনারসের সাথী ফসল হিসেবে কলা চাষ ছিল নিয়মিত অনুষঙ্গ। বাজারে কলার চাহিদা থাকায় কেউ কেউ আনারস বাগানের পাশে বিভিন্ন জাতের কলার চাষ শুরু করেন। কম খরচ ও স্বল্প শ্রমের কলা চাষে লাভের মুখ দেখেন কলা চাষীরা।

আরও জানা গেছে, মধুপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে আনারসের পাশাপাশি কলা চাষ করছিল স্থানীয় আদিবাসীরাও। এতে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কলা গাছের পরিত্যক্ত অংশ স্থানীয় কারখানায় প্রসেস করে সুতা ও শো-পিচ তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ অজ্ঞাত ভাইরাসের (পানামা) আক্রমণে অপার সম্ভাবনাময় কলা চাষে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে অনাগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় কলা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫০ থেকে ৩৮০টি কলা গাছ রোপন করা হয়। একটি কলা গাছে রোপন থেকে বাজারজাত পর্যন্ত ১২০ থেকে ১৯০ টাকা খরচ হয়। প্রতিটি কলার ছড়ি ৩২০ থেকে ৪৩০ টাকায় বিক্রি করা যায়। এ হিসেবে প্রতি বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা কৃষকের লাভ হয়।

বারিকলা-১ ও বারিকলা-২ (আনাজিকলা), অমৃত সাগর, মন্দিরা, মন্দিরা সাগর, সবরি, চম্পা, চিনিচাম্পা, কবরি, মেহের সাগর, বীচি কলা ইত্যাদি জাতের কলা চাষ হয়ে থাকে। পূর্বে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্য জেলাগুলোতে বিভিন্ন জাতের কলা রপ্তানি করা যেত। কিন্তু পানামা রোগের কারণে বর্তমানে কলা চাষে ক্রমশ অনাগ্রহ দেখাচ্ছে চাষিরা। কৃষি বিভাগের মতে, গত বছর শুধুমাত্র মধুপুর উপজেলায় ১০ হাজার একর জমিতে কলা চাষ হলেও এবার মাত্র ৭ হাজার একর জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে।

সরেজমিনে মধুপুর উপজেলার কলাচাষী শোলাকুড়ির ধরংপাড় গ্রামের শামীম মিয়া, নায়েব আলী, হরিণধরার আ. রশিদ, সোহাগ হোসেন, ফকিরাকুড়ির আনোয়ার হোসেন আনু, নওগাইলের খোকন মিয়া, লটপাড়ার শফিকুল ইসলাম, হাগুরাকুড়ির আনোয়ার হোসেন আলম, চাঁনপুর গ্রামের আবুল কালামসহ অনেকেই জানান, তাদের প্রধান ফসল আনারস। সাথী ফসল হিসেবে তারা কলা চাষ শুরু করেন। কয়েক বছর ভালো ফলন পেলেও গত ২-৩ বছর ধরে কলা গাছে অজ্ঞাত ভাইরাস(পানামা) দেখা দেওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই আগের চেয়ে কলা চাষ কম করছেন।

তারা বলেন, মধুপুর বনাঞ্চলের জমিতে চাষাবাদ করেন বিধায় তারা ব্যাংক ঋণও পান না। ৬-৭ বছর আগে কলা চাষে লাভ হলেও ক্রমান্বয়ে লোকসান হওয়ায় অনেকে পুঁজি হারিয়ে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কলাচাষ করে ফের লোকসান গুনেছেন। পানামা রোগে একবার আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে পুরো বাগান নষ্ট হয়ে যায়। তারা স্বল্প পরিসরে কলা চাষ করে কোনও রকমে কলার আবাদ ধরে রেখেছেন। অনেকে বার বার লোকসান দিয়ে আবাদ বন্ধ করে দিয়েছেন।

কৃষকরা বলেন, কৃষি বিভাগ পানামা রোগ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক ছাই প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও
ছত্রাকনাশক ফুরাডন-৫জি প্রতি গাছে ৫ গ্রাম হারে (প্রতি একরে ১.৫ কেজি) প্রয়োগের পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতেও ওই অজ্ঞাত ভাইরাস (পানামা) পুরোপুরি দমন হয় না। বাধ্য হয়ে তারা কলা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

এ বছর কলা গাছের পাতা মরে যাওয়া ও গাছ পচে যাওয়ার রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এ জন্য পানামা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কলা চাষে বিপর্যয় রোধ করতে কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন তারা ।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, আগের ফসলে রোগ থাকলে বা রোগাক্রান্ত গাছ থেকে চারা সংগ্রহ করলে পরের বছর আবার পানামা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চারা রোপণের সময় বয়স কম হলে, নিম্নমানের নিস্কাশিত মাটি এবং অধিক আগাছা ও ঘাস ইত্যাদি থাকলে পানামা রোগ হয়ে থাকে। পানামা আক্রান্ত কলা গাছের পুরনো পাতায় হলুদ বর্ণের দাগ দেখা যায়।

এ ছাড়া পুরনো পাতা ক্রমান্বয়ে হলুদ হয়ে যায়, পাতার কিনারা ও বোঁটা ফেটে যায়, লিফব্লেট (মাইজ পাতা) ঝুলে পড়ে শুকিয়ে যায়। কলাগাছের গোড়ার দিকে লম্বালম্বি ভাবে ফেটে যায়। আক্রান্ত গাছ থেকে অস্বাভাবিক থোড় বের হয়। এ ছাড়াও গাছটির রাইজোমের (কান্ড) ভেতর কালচে রঙ দেখা দেয়।

সূত্র মতে, চুন প্রয়োগ করে মাটির জৈব শক্তি বৃদ্ধি করা হলে পানামা রোগ থেকে কলাগাছকে মুক্ত রাখা যেতে পারে।

মধুপুর কলা চাষী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মিণ্টু জানান, তাদের সংগঠনের সদস্যদের লাখ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ কলা চাষিরা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। লোকসানের মুখে পড়ে পুঁজির অভাবে অনেকে এ বছর কলা চাষ করেননি। কলা চাষে লোকাসানের কারণে ওইসব জমিতে এবার অন্য ফসল আবাদ করা হয়েছে।

তারা আরও জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রচেষ্টা তাদের কোনও কাজে আসেনি। এ অঞ্চলের কৃষকদের ৫-৭ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। বাগানের পর বাগান পানামা রোগে বিনষ্ট হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার জানান, কৃষি বিভাগের কর্মীরা সরাসরি মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। মূলত একই জমিতে বার বার কলা চাষ করায় মাটির জৈব উপাদান কমে যাচ্ছে। ফলে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

তিনি আরও জানান, অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার, ভালো বীজ বা চারা সংগ্রহ না করা ও বীজ শোধন করে রোপন করায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ, জৈব সার ব্যবহার ও কলা চাষে ফুডব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ করছে।

এসআইএইচ

Header Ad

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ছবি: সংগৃহীত

নয় দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন এ পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

এ সময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি। দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।

পূর্বের ন্যায় ১০০% পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।

চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (বামে) এবং চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য একান্তই তার নিজস্ব, যার কোনো দায়ভার ইসকন নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্যে বা অবস্থানের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কি উদ্যোগ নিলো বা কি বললো তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায়ও ইসকন দায়ী নয়। শিশুর সঙ্গে খারাপ কাজসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অনেক আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর বিবৃতি দেয় ইসকন। যেখানে ভারতকে আলোচনা করতে বলা বাংলাদেশের সঙ্গে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তুললে সেখানে হট্টগোল করে ইসকনের সমর্থকরা। ভাঙচুর চালানো হয় মসজিদে। এ সময় একজন আইনজীবীকে তুলে নিয়ে কুপিয়েও হত্যা করে ইসকন সদস্যরা। যদি এসব বিষয় এখন অস্বীকার করছেন তারা।

Header Ad

ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ

সোহেল তাজ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।’

সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘কত বড় নির্লজ্জ বেহায়া হলে দেশটাকে এক মুহূর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দিবে না। প্রথমে ডিজিটাল জুডিশিয়াল কু’র চেষ্টা, তারপর একের পর এক অপচেষ্টা আনসার বাহিনী দিয়ে, ব্যাটারি রিকশা, নূর হোসেন দিবসে “ট্রাম্প” কার্ড, ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শাহবাগে মানুষের জমায়েত করার চেষ্টা বিভিন্ন কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা আর এবার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা।’

স্ট্যাটাসটিতে তিনি মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ ও ‘অন্তরালে হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী’ বই দুটো সবাইকে পড়তে অনুরোধ করেন।

এ ছাড়া তিনি লেখেন, ‘নীতি আদর্শবিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই—আমি আপাদেরকে চিনি। নষ্ট পচা নীতি/আদর্শবিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলব অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম