এমপিওভুক্ত কলেজ থাকে তালাবদ্ধ!
নেত্রকোনার মদনে তালাবদ্ধ থাকে এমপিও ভুক্ত একটি কলেজ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন থাকলেও নেই শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী। এতে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে সচেতন মহলের মাঝে।
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াই চলছে এমপিওভুক্ত জনতা ও কারিগরি বানিজ্য কলেজ নামে একটি কলেজ। সরকারি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে ও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। অতি দ্রুত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করার জন্য দাবি এলাকাবাসীর।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজটিতে একটি প্লাস্টিকের পাইপ এর মধ্যে জাতীয় পতাকা টানানো আছে। কিন্তু অধ্যক্ষের রুমসহ সকল ক্লাস রুম তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। কয়েক ঘন্টা অবস্থান করলেও শিক্ষক কিংবা ছাত্র-ছাত্রীদের কাউকেই দেখতে পাওয়া যায় নি। চারদিকে শুধু নির্জনতা ও নিরব এক পরিবেশ বিরাজ করছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, কলেজটি ২০০৫ সালে স্থাপিত হয়েছিল যা পরবর্তীতে মদন বাজারে একটি ভাড়া বাসাতে থাকাকালীন সময় ২০১৫ সালে এমপিও ভুক্ত হয়েছে। যার বর্তমান অবস্থান হচ্ছে জেলার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হাসনপুর গ্রামে। তবে কলেজে নেই কোন শিক্ষা কার্যক্রম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে দেখা হলে তারা বলেন, আমরা এখানে শুধু কলেজটাই দেখেছি কিন্তু কোনদিন শিক্ষক বা ছাত্র ছাত্রী দেখিনি। তারা আরও বলেন, আমরা চাই কলেজটা যেন খুব তাড়াতাড়ি চালু করা হয়। এবং আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন সুন্দরভাবে পড়াশোনা করে মানুষ এর মত মানুষ হতে পারে।
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার শফি বলেন, আমি কলেজ অধ্যক্ষকে কয়েকবার কলেজের ক্লাস সুন্দর ভাবে পরিচালনার কথা বলেছি কিন্তু তিনি তা মানেন নি তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি।
কলেজ অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান খান এর কাছে কলেজে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী না থাকায় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজে শিক্ষক ছিল কিন্তু এখন হয় তো খাইতে গেছে। এটা কারিগরি কলেজ তো তাই ছাত্র ছাত্রী তেমন আসে না আর জাতীয় পতাকা থাকার বিষয় টি তিনি একে বারেই এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন বলেন, আমি গভর্নিং বডির মিটিংয়ে অধ্যক্ষকে সুন্দরভাবে কলেজ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএজেড