প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেলেন ১৮০ গৃহহীন পরিবার
নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন ১৮০ গৃহহীন পরিবার। আশ্রয় পেয়েছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। আশ্রয় পেয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কূতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসন।
এই উপজেলায় প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কেবল গৃহহীন-ভূমিহীনই নয়, ঘর পাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদিবাসীরাও। এতে করে একসময়ের সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত এই উপজেলায় বসবাসরত অসহায় মানুষ গুলোর জীবন বদলে গেছে এখন।
এই মানুষগুলোর একসময় ছিলোনা নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা। খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন তারা। কিন্তু বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার এই বিশেষ মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে বাসস্থানসহ নানাবিধ সুবিধার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে তাদের নাগরিক জীবনমান।
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহীত এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বারহাট্টায় এখন পর্যন্ত (১৮০)টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা এই ঘরগুলো বরাদ্দ পেয়েছে এই উপজেলায় বসবাস করা গৃহহীন ও ভূমিহীন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদিবাসীরা। এই উপজেলায় অসহায় ভিক্ষুকরাও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই ঘর।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘর হাসি ফুটিয়েছে বারহাট্টা উপজেলার সকল অসহায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মুখে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের, নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে খুশি এই গৃহহীন ও ভূমিহীনরা। সরেজমিনে এসব ঘরে বাস করা মানুষদের সাথে এক সাক্ষাতে দেখা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাবন করছেন।
উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের বড়গাওয়া গ্রামের কৃষক পূর্ণিমা রানী প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে তিনি নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে আমরা ছোট ভাঙ্গা ঘরে থেকে শিশু সন্তান নিয়ে শীত-বৃষ্টি মৌসুমে লড়াই করে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতাম। সরকার আমাদের নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই আমাদের।
এদিকে উপজেলার আসমা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহীম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে ২৮ বছরের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন আমরা সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। এই সময়ে সরকারের দেওয়া অনেক সহযোগিতা পেয়ে এখন আমরা অনেক সুখে আছি।
আসমা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম খান ছন্দু বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের কথা ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছে ততদিন নিরাপদে থাকবে এই দেশের জনগণ, কারণ তিনি দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৪ ঘন্টাই এ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। শেখ হাসিনার সরকার আছে বলেই সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি,একইসাথে কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন যেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে ও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বারহাট্টায় এখন পর্যন্ত (১৮০)টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী বলেন,প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বারহাট্টায় এখন পর্যন্ত (১৮০)টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এবং এই উপজেলায় যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন যাছাই বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের এই গৃহ প্রধান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা এই উপজেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাসেম বলেন, আমরা শেখ হাসিনার সৈনিক, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার এই মহৎ উদ্যোগ গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ এই প্রকল্প বিশ্বব্যাপি আলোরণ সৃষ্টি করেছে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষেই সম্ভব এই সব উন্নয়ন কাজ। এই উপজেলায় কোনো মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে যারা ঘর পেয়েছেন তারা স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাবন করছেন। এছাড়াও এসকল দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী ও দেয়া হচ্ছে। একইসাথে কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন যেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। আমরা এই উপজেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছি।
এএজেড