শিশুকে ধর্ষণ করে ৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করতেন ধর্ষক
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আহম্মদ আলী ওরফে কাশরাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর থানাধীন গাজীপুরা এলাকায় আসামির মেয়ের বাড়ি থেকে আট বছর পর ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত ২টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ভিকটিম একজন হতদরিদ্র ঘরের সন্তান। তার মা ভিক্ষা করে ও বড় ভাই দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি আহম্মদ আলী উপজেলার বাঁশকান্দা এলাকার মৃত হাবিল উদ্দিন ফকিরের ছেলে এবং ভিকটিমের প্রতিবেশী। ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাতে শিশুটিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত আহম্মদ আলী। পরে শিশুটির চিৎকারে ভিকটিমের মা ও আশপাশের লোকজন এসে ভিকটিমকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। ওই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে মামলা করলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর আসামি আহম্মদ আলীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (১) ধারার অপরাধে সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদয়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় দীর্ঘ ৮ বছর যাবত নিজের পরিচয় গোপন করে গাজীপুর এলাকায় বিভিন্ন মাদ্রাসায় ও বাসা-বাড়িতে আরবি শিক্ষকতা করে আসছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে র্যাব-১৪, সিপিসি-১,জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে সোমবার রাত ৮টার দিকে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামিকে নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআইএইচ