সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো বাণিজ্যিক কুমির খামার
পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার রেপটাইলস ফার্ম। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে কুমির খামারে প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন পরিচালনা পরিষদ।
খাল কেটে কুমির আনা বিরূপ ধারণার দেশে কুমির চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। সেই লক্ষ্যে ঋণ খেলাপি আর পিকে হালদার ইস্যুতে মুখ থুবড়ে পড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিষ্ঠিত কুমির খামারের সংকট কাটিয়ে নতুন উদ্যোমে শুরু হলো খামারটির যাত্রা।
২০০৪ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় ১৫ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমিরের খামার রেপটাইলস ফার্ম। খামারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মুশতাক আহমেদ। আর ৩৬ শতাংশ মালিকানা নিয়ে সাথে ছিলেন মেজবাহুল হক। ২০১২ সালে খামারের শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় চলে আসেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার।
এরপর থেকেই খামার দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ বের করে নেন পিকে হালদার। ২০২০ সালে সরকার পিকে হালদার ইস্যুতে ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করলে হুমকিতে পড়ে কুমিরের পরিচর্যা।
পরে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ড.নাইম আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৬ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠন করে দেন। এই বোর্ড ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী খামারের কার্যক্রম শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেপটাইল ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড.নাইম আহমেদ বলেন, মুখ থুবড়ে পড়া খামারটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১ হাজার ৭৩০ টি কুমির অসুস্থ পাই। তখন প্রতিদিনেই মারা যাচ্ছিল কুমির। সেই সংকট কাটিয়ে আমরা এখন একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছি।
যেহেতু কুমিরের চামড়া ছাড়া মাংস দাঁত হাড় রপ্তানী করা যায় না, সেহেতু খরচ চালানো একটু কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই পর্যটন চালুর এই উদ্যোগ। পর্যটন খাত থেকে যা আয় হবে তা দিয়ে কুমিরের খাবারের অনেকটা ব্যবস্থা হবে। বর্তমানে খামারটিতে আড়াই হাজারের মতো কুমির রয়েছে।
এএজেড