একসঙ্গে তিন সন্তান প্রসব করেছেন হাজেরা খাতুন
নেত্রকোনা সীমান্তে দুর্গাপুরে গৃহবধূ হাজেরা খাতুন একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। (১৩ জানুয়ারি) শুক্রবার মধ্যরাতে দুর্গাপুর পৌরশহরের হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত তালুকদার ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অভাব অনটনের সংসারে তিন সন্তানের লালন পালন করতে কতটুকু সফল হবেন এ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে পরিবারটি।
মা হাজেরা খাতুন উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ফারুংপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী। পিতা বাবুল মিয়া পেশায় একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। নবজাতক দুই ছেলে, এক কন্যা ও তাদের মা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নিম্ন আয়ের পরিবারে একসঙ্গে তিন সন্তান জন্মে খুশি হলেও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হাজেরা/বাবুল দম্পতি। এই দম্পতির ঘরে আরও দুই মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সামান্য আয়ের কর্মচারী বাবুল মিয়া। সদ্য জন্ম নেয়া তিন সন্তান ও পূর্বের পাঁচ একত্রে আট সন্তানের লালন পালন কিভাবে করবেন ভেবে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,সন্ধ্যায় হঠাৎ করে প্রসব ব্যথা শুরু হয় প্রসুতি হাজেরা খাতুনের। তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসলে মধ্যরাতে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ হাজেরা খাতুন। নিজের সম্পদ বলতে কিছুই নেই বাবুল মিয়ার। স্বর্ণের দোকানে কাজ করে কোনোমতে সংসার চলে তার।
নবজাতকের দাদি জাহেরা খাতুন জানান, তিন সন্তান এক সঙ্গে জন্ম নেওয়ায় আমরাও খুশি তবে দুচিন্তায়ও আছি। একজনের উপার্জনে কোনোমতে তাদের সংসার চলে। আল্লাহ সুস্থ রাখলে পরিবারের সবাই মিলে লালন-পালন করব। দেশবাসীর কাছে সন্তানদের জন্য দোয়া চাই।
বাবুল মিয়া জানান, তিনি পাঁচ সন্তান নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তার ওপর আরো তিন সন্তান একত্রে সদ্য জন্ম নিয়েছে। এই শীত মৌসুমে সবার গরম কাপড়, খাবার ও ওষুধ মেলানো তার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয় বলে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন। অতি দ্রুত সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।
মা হাজেরা খাতুন বলেন, "আমি হতভাগা।এর লাগি গরিব অইলেও আট ছেলে মাইয়া অইছে। আমি কি কইরা কইলজার টুকরার কাপড়, খাওন ও অষুধ মিলাইবাম। আল্লাহ এরারে বাঁচাও। আমার জীবনের বদলে এরারে বাঁচাও। আমি আমার সন্তানরে বাচাইতে চাই।"
এএজেড