প্রভাবশালী চক্রের দখলে গোচারণভূমি ও খেলার মাঠ
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নে মৃগা বাজারের পূর্বপাশে সরকারি খাস জমি দখলের পাঁয়তারা চলছে। জানা যায় এটি গোচারণভূমি ও খেলার মাঠ হিসেবে দুইশত বছর ধরে মৃগাবাসী ব্যবহার করে আসছে। গত ২৫ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে মাঠের জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ দিয়ে জানায়, উপরিউক্ত মৃগা ইউনিয়নের মৃগা মৌজার ১নং খতিয়ানের আওতাভুক্ত ৪৪৭৬,৪৪৬৯ ও ৩০১১ দাগে মোট ৬৮.৫০একর গোচারণভূমি ও খেলার মাঠ অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি খাস জমি দখলের জন্য ভূমিদস্যুদের একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। দখলদারদের উচ্ছেদে কার্যকরী কোনো ভূমিকা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত হয়নি বিধায় বিভিন্নসময় রাতের অন্ধকারে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে সরকারি জায়গা দখল করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মৃগা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃগা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মারজান সহ খাস জমি দখল করে মাটি ভরাটের পর বসতভিটা তৈরী করে মানুষজনের কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। মারজান মেম্বারের নেতৃত্বে সরকারি মাঠে মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে। ইতোমধ্যে ইটনা উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
মৃগা ইউনিয়নের মৃত আসকির মিয়ার পুত্র খলিলুর রহমান জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় ভূমিদস্যুদের একটি চক্র খেলার মাঠ দখল করার পাঁয়তারা করছে। সরকারি ভূমি আত্মসাতের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার জানায়,মৃগা ইউনিয়নে অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি খাস জমি এক শ্রেণির লোক খেলার মাঠ মাটি কেটে ভরাট করতে চেয়েছিল। প্রশাসন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু মেশিন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
বর্তমানে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ রয়েছে এবং যে মাটিগুলো গর্ত খুঁড়ে তুলা হয়েছে সেই মাটি পুনরায় গর্তে ফেলা হবে। কোনভাবেই সরকারি জমি অবৈধভাবে কেউ দখল করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন,নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যদি আবার কেউ মাঠে মাটি ভরাট করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৃগা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মারজান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায় প্রশাসন ব্যতীত জনপ্রতিনিধিদের একার পক্ষে সরকারি জমিতে মাটি ফেলা সম্ভব নয়। মৃগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দারুল ইসলামের সঙ্গে সরেজমিনে গিয়ে কথা বলার জন্য সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন তিনি।
এএজেড