পরির্চযার অভাবে মুছে গেছে মুক্তিযুদ্ধের সকল ইতিহাস
পরির্চযার অভাবে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতিসৌধ ও ফলকে মুছে গেছে মুক্তিযুদ্ধের সকল ইতিহাস। ফলে ধানুয়া কামালপুরের বিভিন্ন স্মৃতিসৌধ ও ফলক পরিদর্শন করতে গিয়ে দর্শনার্থী ও পর্যটকরা ১১ নম্বর সেক্টরের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের সিংহভাগ ইতিহাস জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরের মাটিতে। বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উড়ে ধানুয়া কামালপুরে। পাক হানাদার বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আত্মসমর্পণ করেন বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুরে। তাই ধানুয়া কামালপুরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অসংখ্য স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ফলক গড়ে উঠেছে। সরকারিভাবে গড়ে উঠা ধানুয়া কামালপুর হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন স্মৃতিসৌধের সাদা পাথরে খোধাই করে কালো কালিতে লেখা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। কিন্ত পরিচর্যা না করায় সব ইতিহাস মুছে গেছে। ফলে দর্শনার্থী বা পর্যটকরা স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
সেক্টর কমান্ডার ক্যাপটেন সালাউদ্দিনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ক্যাপটেন সালাউদ্দিন ক্লাব ও
স্মৃতিসৌধ। সেখানেও লেখা ছিল মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। তাও মুছে গেছে যত্নের অভাবে।
ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের স্বরণে গড়ে উঠেছে কর্নেল তাহের স্মৃতিসৌধ। পরিচর্যার অভাবে সেখানেও মুছে গেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরল ইতিহাস। একই ক্যাম্পাসে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার ফলকটিতেও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুছে সাদা হয়ে গেছে। সেই স্মৃতি ফলক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উদ্ধার করা খুবই কঠিন।
ধানুয়া গ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর ঘিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি গণকবর স্মৃতিসৌধ। সেই গণ কবরে লেখা ছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস। তাও মুছে গেছে।
কামালপুর বাজার মোড় সংলগ্ন একটি বধ্যভূমি ঘিরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ছিল একটি স্মৃতি সৌধ। সেখানেও লেখা ছিল-মুক্তিযুদ্ধের অনেক বড় ইতিহাস। পরিচর্যার অভাবে সেই ইতিহাস বিলীন।
এসআইএইচ