প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যু
প্রতিপক্ষের হামলায় আহত নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুব্রত সাংমা দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্ৰামের সুধীর মানখিনের ছেলে। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের বোন কেয়া তজু বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সুব্রত সাংমা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। প্রথমে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দুর্গাপুর উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নিহত সুব্রত সাংমার ভাই সাইমন তজু বলেন, প্রতিপক্ষের বিষয়ে ভাইকে বারবার বলার পরও তিনি সতর্ক হননি। এজন্য হামলার ঘটনায় তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আমি এই খুনের বিচার চাই।
সাবেক এই চেয়ারম্যানের খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা। তাদের একমাত্র জনপ্রতিনিধিকে হত্যার প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, এখন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এলাকার রাশিমণি বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সুব্রত সাংমাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে আবার তার উপর হামলা চালানো হয়। একাধিক হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।
উল্লেখ্য, এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সুব্রত সাংমা। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের কাছে পরাজিত হন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর আগে আওয়ালকে পরাজিত করে এ পদে বিজয়ী হয়েছিলেন সুব্রত।
এসজি