শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করলেন মাহমুদুর রহমান
মাহমুদুর রহমান (ইনসটে শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত
ছয় বছর আগে কুষ্টিয়ায় জামিন নিতে এসে আদালত প্রাঙ্গণে নিজের ওপর হওয়া হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মাহমুদুর রহমান নিজেই কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান।
এর আগে মাহমুদুর রহমান তার আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে মডেল থানায় যান। সেখানে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা ছাড়াও নানা বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এজাহার দায়েরের পর থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় মাহমুদুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ২২ জুলাই আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে নৃশংস হামলা হয়েছিল। সেই হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাসদ সভাপতি ও তৎকালিন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি। এছাড়া ছাত্রলীগের স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ছাড়াও আরও নেতারা জড়িত ছিলেন। ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অনেকেই আসামি আছে। আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করেছি। পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
শেখ হাসিনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও করেন তিনি। পরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন মাহমুদুর রহমান। সেখান থেকে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের বাসায় যান।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার পথে জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা হয়। সে সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তার ওপর হামলার সময় নীরব ভূমিকা পালন করেন। হামলায় গুরুতর জখম হন মাহমুদুর রহমান। ইট দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়।