যশোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণে পুলিশের লাঠিচার্জ
ছবি: সংগৃহীত
যশোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শহরের বড়বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে টহলের পাশাপাশি পুলিশকে তল্লাশি অভিযান চালাতেও দেখা গেছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘জনগণ বর্জন করায়’ জনগণকে ধন্যবাদপত্র লিফলেট বিতরণের কর্মসূচির আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১২টার দিকে শহরের দড়াটানা মোড় থেকে ধন্যবাদপত্র লিফলেট বিতরণ শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। দড়াটানা থেকে কর্মসূচিটি যখন কাপুড়িয়া হাটচান্নি বাজারের সামনে যায় তখনই পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা শুরু করেন। এতে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এই ঘটনায় বেশকয়েকজন আহত হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করেছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে যশোরে শান্তিপূর্ণ লিফলেট বিতরণ করেন নেতা-কর্মীরা। কিন্তু কর্মসূচির শেষদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্দয়ভাবে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের ডামি ভোট বর্জন করেছে সাধারণ জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যখন আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি; এই অবৈধ সরকার এখন বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও ভয় পাচ্ছে। গণতন্ত্র হত্যা করে সরকার একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করে যে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, সেটার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এ ভয়। নেতা-কর্মীদের ওপর এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এই বিষয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি করেছে কিনা সেটা জানা নেই। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে কিনা সেটাও জানা নেই।